২৮ মে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন
এই তিন দেশ থেকে রাষ্ট্রদূতদের ফিরিয়ে আনছে ইসরাইল- দ্য গার্ডিয়ান
- ২৩ মে ২০২৪, ০০:০৫
স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে আগামী মঙ্গলবার (২৮ মে) ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার এমন ঘোষণার পর দেশ তিনটি থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের তেল আবিবে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তিনটি দেশ থেকে রাষ্ট্রদূতদের অবিলম্বে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় আয়ারল্যান্ড ও নরওয়েতে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতদের তেল আবিবে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছি। তিনি বলেছেন, ইসরাইলের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকিতে ফেললে আমরা নীরব থাকব না; আয়ারল্যান্ড ও নরওয়েকে এই স্পষ্ট বার্তা আমি দিতে চাই।
বুধবার নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেনের নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন, ২৮ মে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে তাদের দেশ। এ ঘোষণার পর ইসরাইলের সাথে দেশগুলোর কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য আয়ারল্যান্ড, স্পেন, স্লোভেনিয়া ও মাল্টা ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা যে করছে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছে। দেশগুলো মনে করে, এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান অপরিহার্য।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেছেন, ‘আজ আয়ার্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন ঘোষণা করবে যে আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছি। আজকের ঘোষণার আগ পর্যন্ত আমি অন্য বেশ কয়েকজন নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে আরো কয়েকটি দেশ আমাদের সাথে যোগ দেবে বলে বিশ্বাস আমার।’
এ পদক্ষেপ ইসরাইলের সাথে শান্তি আনায় সহায়তা করবে, এমন আশায় এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইউনাস গারস স্তুরা। এক সংবাদ সম্মেলনে স্তুরা বলেছেন, ‘একটি যুদ্ধের মাঝখানে, সাথে হাজার হাজার নিহত ও আহতকে নিয়ে, যে একমাত্র বিষয়টি ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনি উভয়ের জন্য একটি নিরাপদ আবাস দিতে পারে, আমাদের অবশ্যই সেটি বাঁচিয়ে রাখতে হবে : দুই রাষ্ট্র পারবে একে অন্যের সাথে শান্তিতে থাকতে।’
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্লোভেনিয়া ও মাল্টাও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধান অপরিহার্য বলে মনে করছে এসব রাষ্ট্র। আয়ার্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হ্যারিস বলেছেন- ইসরাইল, ফিলিস্তিন ও তাদের জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধানই একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য পথ।
তিনি জানান, ইসরাইলের পূর্ণ স্বীকৃতি এবং এর ‘প্রতিবেশীদের সাথে নিরাপদে ও শান্তিতে থাকার’ অধিকার নিয়ে আয়ারল্যান্ড দ্ব্যর্থহীন। ফিলিস্তিনকে আয়ারল্যান্ডের স্বীকৃতি ২৮ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে বলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন জানিয়েছেন। ইউরোপীয় এসব রাষ্ট্রের এ ঘোষণার আগে জাতিসঙ্ঘের সদস্য ১৯৩টি রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৩টি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা