১৬ জুন ২০২৪
`
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রশ্নে মতবিরোধ

সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার আশা নেই যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেয়ার সময় বিক্ষোভকারীরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনকে যুদ্ধাপরাধী এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার জন্য দায়ী বলে অভিযুক্ত করে স্লোগান দেয় : ইন্টারনেট -

ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সম্প্রতি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইস্যুতে তেল আবিব ও রিয়াদের মধ্যে স্পষ্ট মতবিরোধ দেখা দেয়ায় সেই প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ না হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে মনে করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে এক শুনানিতে অ্যান্টনি ব্লিনকেন এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। এই প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি বাস্তবায়িত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন।
ব্লিনকেন বলেন, ‘সৌদি আরব গাজায় যুদ্ধবিরতি ও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি করে এবং এটি ভালো। তবে ইসরাইল বিষয়টি এগিয়ে নিতে ইচ্ছুক নয়।’ এ সময় তিনি ইসরাইলকে ইঙ্গিত করে আরো বলেন, ‘দেশটিকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, দেশটির প্রতিষ্ঠাকালীন চাওয়া অর্জন করার জন্য এই সুযোগের (ফিলিস্তিন রাষ্ট্র মেনে নেয়ার বিপরীতে সৌদি আরবের স্বীকৃতি) সদ্ব্যবহার করতে চায় কি না।’
কংগ্রেসের শুনানিতে ব্লিনকেন ডান ও বাম উভয়পন্থীদের কাছে সমালোচনার সম্মুখীন হন। রিপাবলিকানরা বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বলেন, ডেমোক্র্যাট সরকার গাজার বেসামরিকদের সাহায্য করার জন্য খুব একটা কাজ করেনি। ডেমোক্র্যাটিক নিয়ন্ত্রিত সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সামনে শুনানি শুরুর সাথে সাথে রিপাবলিকানরা ব্লিনকেনকে বাধা দেন। তারা সেখানে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘ব্লিনকেনের হাতে রক্ত লেগে আছে।’ এ সময় একজন প্রতিবাদকারী ব্লিনকেনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘অপরাধী’ বলে আখ্যা দেন। পরে সেই বিক্ষোভকারীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বের করে নিয়ে যান।


আরো সংবাদ



premium cement