থমকে আছে সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্থাপনে মার্কিন উদ্যোগ
- নিউ ইয়র্ক টাইমস
- ১৯ মে ২০২৪, ০০:০৫
গাজায় চলমান হামাস-ইসরাইলের সঙ্ঘাতের কারণে ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে মার্কিন উদ্যোগ থমকে আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার দুই বছরের মাথায় এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত বছর অক্টোবরে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর আর তেমন অগ্রগতি হয়নি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের কর্মকর্তারা গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে ইসরাইলকে চাপ দিচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। শিগগিরই সৌদি আরব ও ইসরাইল সফর করবেন সুলিভান। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, আমরা দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কেমন হবে, সেই রূপরেখার বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা চূড়ান্ত করার জন্য কাজ করা অব্যাহত রেখেছি।
মার্কিন ও সৌদি উদ্যোগের পরও সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিরোধিতা করে আসছে। তার দাবি, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট দেশটির সরকারের গাজা পরিচালনা নিয়ে পরিকল্পনা না থাকার সমালোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের কর্মকর্তারা নেতানিয়াহুকে চ্যালেঞ্জ করছেন। তারা ইরানকে মোকাবিলায় রিয়াদের সাথে একটি সম্ভাব্য নিরাপত্তা সহযোগিতা মেনে নিতে আহ্বান জানান। ইরানের সাথে সৌদি আরব ও ইসরাইলের বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান অগ্রগতি উল্লেখ করে বলেছেন, আমরা খুব কাছাকাছি রয়েছি। বেশির ভাগ কাজ ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। তবে গাজায় দীর্ঘমেয়াদে একটি যুদ্ধবিরতি অর্জন এখনো কঠিন রয়ে গেছে। ইসরাইল কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না এবং রাফাহ শহরে হামলা জোরদার করছে। সৌদি বিশ্লেষক আলি শিহাবি সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, এই পর্যায়ে সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকে দূরবর্তী বিষয় হিসেবে মনে করছেন।
আঞ্চলিক উদ্বেগের কথা তুলে ধরে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির ঘাইত আল-ওমারি বলেন, সৌদিদের কাছ থেকে এটি আমরা সবসময় শুনে আসছি : দেখুন আমিরাতিদের কী ঘটছে, বাহরাইনিদের কী ঘটছে। সৌদি আরবের একটি দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা ও বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চু০ক্তি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। একই সাথে তারা একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠায় ইসরাইলিদের প্রতিশ্রুতিও নিশ্চিত করতে চায়। ভূরাজনৈতিক জটিলতার কারণে এমন আলোচনা কতটা সফল হবে এখনো অনিশ্চিত।