১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবি

ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্প উচ্ছেদ

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যাম্পাস চত্বর থেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন : ইন্টারনেট -

যুক্তরাষ্ট্রের ইরভিন শহরে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একটি লেকচার হল থেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। হলটি টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে আটকে রেখেছিলেন তারা। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি ক্যাম্পও ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পটিতে অবস্থান করছিলেন।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা লেকচার হলটি দখল করেছিল, যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এই ঘটনাকে একটি ‘হিংসামূলক প্রতিবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করে পুলিশের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রায় ১০টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হন এবং বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ও রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লেকচার হলটি দখল করার ঘণ্টা চারেক পর হল ও ক্যাম্প থেকে বিক্ষোভকারীদের বের করে দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে টেলিফোনে ইউসি আরভিনের মুখপাত্র টম ভাসিচ বলেছেন, ‘লেকচার হলটি পুনরুদ্ধার করেছে পুলিশ। আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা ভবনটি খালি করেছেন।’ এসময় ‘অসংখ্য বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার’ করার কথা জানিয়েছেন ভাসিচ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবারের সব ক্লাস অনলাইনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের ক্যাম্পাসে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে প্রায় ৪০ মাইল (৬৫ কিলোমিটার) দক্ষিণে ইরভিন শহরে এই বিক্ষোভ হচ্ছে। গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বেসামরিকদের জীবন রক্ষার আহ্বান জানিয়ে সর্বশেষ ইরভিনে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইসরাইলি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব ধরনের সম্পর্ক থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইউসি ইরভিনের বিক্ষোভকারীরা ২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার হলের সংলগ্ন একটি ক্যাম্প স্থাপন করেছিলেন। ভাসিচ বলেছিলেন, বুধবার ২০০ থেকে ৩০০ বিক্ষোভকারী লেকচার হলটি দখল করেছিল। তখন হলটি অবশ্য খালিই ছিল। সেখানে কোনো ক্লাস সেশন চলছিল না। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক অরেঞ্জ কাউন্টি রেজিস্টার পত্রিকা জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ একটি ব্যারিকেড তৈরি করে। তখন লাউড স্পিকারে এক অফিসার জনতাকে সতর্ক করে হলটি খালি করার নির্দেশ দেন। বেআইনিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সমাবেশ করায় তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও সতর্ক করেছিলেন তিনি।
রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এসময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিয়ে, ড্রাম বাজিয়ে এবং ব্যানার উত্তোলন করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাদের কাছাকাছি সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ। ভাসিচ আরো জানিয়েছেন, চারটি সংলগ্ন গবেষণা ভবনের ভেতরে শত শত মানুষকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। পরে অবশ্য তাদেরকে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যার দিকে লেকচার হলে প্রবেশ করেছিল পুলিশ। এর পর ক্যাম্পে অবস্থানকারী বিক্ষোভকারীদের সাথে সংঘর্ষ বাধে তাদের। এসময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে হেলমেটধারী পুলিশ। এসময় অনেককে গ্রেফতারও করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে ৫৩ নাগরিকের উদ্বেগ ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দুর্নীতি কে প্রশয় দেয়া হবে না : জাতীয় নাগরিক কমিটি ফতুল্লা থেকে অপহৃত ২ শিশু বরিশাল থেকে উদ্ধার মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করা শিক্ষককে চাকরিচ্যুতের দাবি টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তি ট্রাম্প আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য দিবসে রিকের র‌্যালি ও মানববন্ধন অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সভাপতি হাসান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল চুয়েটে র‌্যাগিংয়ের দায়ে ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ঢাকায় উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার না করতে ডিএমপির নির্দেশনা তামিমের ঝড়ে জয় পেল চট্টগ্রাম তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা, কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সকল