ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া
- আলজাজিরা
- ০৩ মে ২০২৪, ০০:০৫
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের সেনাদের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধকারী এজেন্ট ক্লোরোপিক্রিন ব্যবহার করে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ওপর বিশ্বব্যাপী যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ওয়াশিংটন।
এ ধরনের রাসায়নিকের অস্ত্র ব্যবহার কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সম্ভবত ইউক্রেনীয় বাহিনীকে সুরক্ষিত অবস্থান থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য এবং যুদ্ধক্ষেত্রে কৌশলগত ফলাফল অর্জনের জন্য রুশবাহিনী ইচ্ছাকৃত ভাবে এসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের কারণে মস্কোর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।
ক্লোরোপিক্রিন একটি বর্ণহীন তৈলাক্ত তরল যা চোখ, ত্বক এবং ফুসফুসে মারাত্মক জ্বালা সৃষ্টি করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রচুর পরিমাণে এ ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অকুপেশনাল হেলথ অ্যান্ড সেফটি জানিয়েছে। যদিও কৃষিকাজে কীটনাশক হিসাবে এটি এখনো ব্যবহার করা হয়। তবে ১৯৯৩ সালে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (সিডব্লিউসি) অধীনে এটি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাশিয়া বলছে যে, তাদের কাছে আর সামরিক রাসায়নিক অস্ত্রাগার নেই। তবে বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের যে অভিযোগ উঠেছে সে ক্ষেত্রে আরো স্বচ্ছতা প্রকাশের জন্য ক্রমাগত চাপের মুখে রয়েছে মস্কো।
ক্লোরোপিক্রিন ছাড়াও রুশবাহিনী সিএস এবং সিএন গ্যাস সমৃদ্ধ গ্রেনেড ব্যবহার করে আসছে। চলতি মাসের শুরুতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে রয়টার্স নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানায়। এতে আরো বলা হয়েছে যে, অন্তত ৫০০ ইউক্রেনীয় সৈন্যকে বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসার জন্য চিকিৎসা করা হয়েছে এবং একজন টিয়ার গ্যাসে দম বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
২০২১ সাল পর্যন্ত ইউক্রেনের ডেপুটি প্রসিকিউটর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জিউন্দোজ মামেদভ। গত ২৪ এপ্রিল সামাজিকমাধ্যমে তিনি এক পোস্টে বলেন, রুশ সেনাবাহিনী গত ছয় মাসে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৯০০ বার টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা