০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে মুইজ্জুর জন্য জটিল সমীকরণ

দ্বীপরাষ্ট্রের সাথে ভারত-চীনের সম্পর্ক নির্ধারণ হবে এই নির্বাচনে
ভোট দিচ্ছেন মোহাম্মদ মুইজ্জু ও ইব্রাহিম সালিহ : ইন্টারনেট -

মালদ্বীপে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববারের এই নির্বাচন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর জন্য কঠিনপরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই দ্বীপরাষ্ট্রের সাথে ভারত চীনের সম্পর্ক কেমন হবে, তার অনেকটাই নির্ভর করবে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। ভারত ও চীন- দুই দেশই সতর্ক দৃষ্টি রাখছে মালদ্বীপের এই নির্বাচনের দিকে। এই নির্বাচনের ফলই হয়ত বলে দেবে ভারত মহাসাগরে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা এই দ্বীপরাষ্ট্রটির উপর আগামীতে কার কতটা প্রভাব থাকবে।
সাদা সৈকত ও নির্জন রিসোর্টের পাশাপাশি একটি ভূরাজনৈতিক হটস্পটও হয়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ব্যয়বহুল পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ। নিরক্ষীয় অঞ্চলজুড়ে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার (৫০০ মাইল) বিস্তৃত ১ হাজার ১৯২টি ক্ষুদ্র প্রবাল দ্বীপের মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক পূর্ব-পশ্চিম শিপিং লেনগুলো অতিক্রম করে।
দীর্ঘ দিন ধরে মালদ্বীপের উপর ভারতের নিয়ন্ত্রণ অনেকটা একচ্ছত্র থাকলেও গত সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোহাম্মদ মুইজ্জু নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে পরিস্থিতি। নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই তিনি তার চীনপন্থী অবস্থানকে স্পষ্ট করে দেন। আর সেই ধারাই সাহায্য করে তাকে নির্বাচনে জয়ী হতে। প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকেই তিনি দ্বীপে থাকা ভারতীয় সৈন্যদের বের করে দেয়ার জন্য কাজ করতে থাকেন।
রোববারের এই নির্বাচনে মালদ্বীপের মোট ভোটার দুই লাখ ৮৪ হাজার। মালদ্বীপে পার্লামেন্টের আসন সংখ্যা ৯৩টি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয়টি রাজনৈতিক দলের মোট ৩৬৮ জন প্রার্থী। এখানে প্রধান দু’টি দল মুইজ্জুর পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইব্রাহিম সালিহের নেতৃত্বাধীন মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এমডিপি)। বর্তমান পার্লামেন্টে অবশ্য এমডিপির প্রাধান্য রয়েছে। পিএনসির লক্ষ্য হচ্ছে একক অথবা জোটগতভাবে হলেও এমডিপির এই প্রাধান্যকে খর্ব করা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুইজ্জুর এক জ্যেষ্ঠ সহযোগী এএফপিকে বলেন, ‘রোববারের নির্বাচনে দলগুলোর ভোটের জন্য প্রচারণার পটভূমিতে ভূরাজনীতির প্রভাব রয়েছে। তিনি ভারতীয় সেনাদের ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন এবং তিনি এটি নিয়ে কাজ করছেন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে পার্লামেন্ট তাকে সহযোগিতা করছে না।’
মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে আইন প্রণেতারা মন্ত্রিসভায় তার মনোনীত তিনজনকে আটকে দিয়েছেন এবং তার কিছু ব্যয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। মুইজ্জুর পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসসহ (পিএনসি) প্রধান সব রাজনৈতিক দলে ভাঙন ধরার কারণে কোনো একক দলের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন কঠিন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement