১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের গুরুত্ব বোঝাচ্ছে বাল্টিমোর দুর্ঘটনা

-

যুক্তরাষ্ট্রে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যখন বাল্টিমোর সেতু ভেঙে পড়ে, তখন এর ওপর সড়ক মেরামতের কাজ করছিলেন আটজন অভিবাসী শ্রমিক। দুর্ঘটনার পর দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও প্রাণ হারান অন্য ছয়জন। অধিকারকর্মীদের মতে, এই দুর্ঘটনাই দেখিয়ে দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
অধিকারকর্মী এবং সাবেক নির্মাণ শ্রমিক লুইস ভেগা বলেন, অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে এসে এমন সব কাজ করেন, যা মার্কিনিরা করতে চান না। এসব কাজ খুবই কঠিন, কর্মঘণ্টা দীর্ঘ অথবা কাজের পরিবেশ কঠোর।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হোটেলের রুম কে পরিষ্কার করতে চায়? কে গরমে রোদের নিচে কাজ করতে চায়? কে মাঠে থাকতে চায়? ‘অভিবাসীরা- আমরাই কাজগুলো করে থাকি,’ বলেন হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা টম পেরেজ। তিনি নিজেও একজন ল্যাটিনো অভিবাসী।
পেরেজ বলেন, ছয়জন মারা গেছেন, অন্য দু’জন বেঁচে রয়েছেন- এটাই আমেরিকা, যেখানে অভিবাসীরাই গর্ত মেরামত করেন। কিছুদিন পরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাতে দ্বিতীয়বারের মতো প্রার্থী হচ্ছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে সাবেক এ প্রেসিডেন্ট জোরালোভাবে অভিবাসনবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছেন। ফলে আশঙ্কা বেড়েছে, পুনর্নির্বাচিত হলে তিনি হয়তো গণহারে অভিবাসী প্রত্যাহার শুরু করবেন। ট্রাম্পের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে মাদক ও অপরাধ বৃদ্ধির জন্য অভিবাসীরাই দায়ী।
লুইস ভেগার কথায়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেখতে পাচ্ছেন না, তিনি তার বিষ দিয়ে কতটা ক্ষতি করেছেন। সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে সীমান্ত পার হয়ে আসে না, তারা ভিসা নিয়ে আকাশপথে প্রবেশ করে। তিনি বলেন, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির সময় কেউ অন্যদের কাছে গিয়ে কাজ করতে চায়নি। তাহলে কাজগুলো করেছিল কে? হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা? খাবার সংগ্রহ করা? এগুলো অভিবাসীরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করেছিল।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২০-২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমশক্তির ৮ দশমিক ২ শতাংশ ছিলেন ল্যাটিনো অভিবাসীরা। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুতে তাদের অংশ ছিল ১৪ শতাংশের মতো। ২০২১ সালে দেশটিতে ৭২৭ জন ল্যাটিনো অভিবাসী কর্মী মারা গেছেন, যা এক দশক আগের চেয়ে অন্তত ৪২ শতাংশ বেশি।
কিন্তু কঠিন পরিশ্রমের কাজ করেও ঠিকঠাক বেতন পান না অনেক অভিবাসী শ্রমিক। টাকসনে ঠিকাদারির কাজ করা জ্যাভিয়ের গালিন্দো জানান, অ্যারিজোনায় আইনগতভাবে ন্যূনতম মজুরি হলো প্রতি ঘণ্টায় ১৪ দশমিক ৩৫ মার্কিন ডলার। কিন্তু, অভিবাসী শ্রমিকরা প্রতিদিন মাত্র ৮০ থেকে ১০০ ডলার উপার্জন করেন, এর জন্য কখনো কখনো তাদের ১০ থেকে ১২ ঘণ্টাও কাজ করতে হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
শিবচরে ভারতীয় আগ্রাসন ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাশার আল-আসাদের পতনে সিরিয়ানদের ভাগ্যে যা ঘটতে পারে গাজায় একদিনে আরো ৫০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল ৬ বছর পর রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন খালেদা জিয়া রৌমারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধ নিহত কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আশরাফ, সম্পাদক আল আমিন ইসরাইলি পাইলটদের যুদ্ধবিমান না চালানোর আহ্বান সাবেক আইন কর্মকর্তার আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মা নিহত, ছেলে-মেয়েসহ আহত ৬ এবার ব্রিটিশ ব্যাংকে ‘ফ্রিজ’ করা হলো বাশারের ৫৫ মিলিয়ন পাউন্ড নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

সকল