দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদাসহ কেজরিওয়ালের নির্বাচনী ছয় প্রতিশ্রুতি
- এনডিটিভি
- ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা এবং সকলের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ লোকসভা নির্বাচনের আগে ছয়টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কারাগারে থাকা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে তার লেখা চিঠি পড়ে শোনান স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল। দিল্লির রামলীলা ময়দানে গতকাল রোববার আয়োজিত বিরোধী রাজনৈতিক জোট ইন্ডিয়ার একটি বিশাল সমাবেশে প্রতিশ্রুতিগুলো বলা হয়।
‘লোকতন্ত্র বাঁচাও’ বা ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ নামের এই সমাবেশে রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খারগে এবং ফারুক আবদুল্লাহসহ অন্যান্য বিরোধী নেতারা একত্রিত হয়েছেন। সমাবেশে কেজরিওয়ালের দেয়া প্রধান ছয় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হচ্ছে-
১. সারা দেশে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা, ২. দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, ৩. প্রতিটি গ্রাম ও পাড়ায় মানসম্মত সরকারি বিদ্যালয় নির্মাণ, ৪. প্রতিটি গ্রাম ও পাড়ায়-মহল্লা ক্লিনিক স্থাপন, ৫. স্বামীনাথন কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে কৃষকদের ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এবং ৬. দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেয়া।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের চিঠি পড়ে শোনান তার স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল। চিঠিতে লেখা ছিল-
‘আমার প্রিয় ভারতীয়রা, আপনারা সবাই দয়া করে আপনাদের এই ছেলের শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আমি ভোট চাইছি না। আমি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য কাউকে পরাজিত করার কথা বলছি না। আমি ভারতকে একটি নতুন ভারত করার কথা বলছি। আমাদের দেশের সব আছে। আমি এখন জেলে। এখানে আমি ভাবার অনেক সময় পাই। আমি ভারতের কথা ভাবি। যখন মানুষ ভালো শিক্ষা পায় না, সঠিক চিকিৎসা পায় না, বিদ্যুৎ চলে যায়, রাস্তাঘাট ভেঙে যায়- তখন কষ্ট পায় ভারতমাতা।’
দিল্লির পূর্ববর্তী আবগারি নীতির সাথে যুক্ত একটি মানিলন্ডারিং মামলায় এখন কারাবন্দী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তার বার্তাই পৌঁছে দেন তার স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল। তিনি ঘোষণা দেন, ‘ভারতমাতা বেদনায় কাতর, এই অত্যাচার চলবে না।’
সমাবেশে উপস্থিত বেশ কয়েকজন উল্লেখযোগ্য বিরোধী নেতাদের মধ্যে ছিলেন- এনসিপির শরদ পাওয়ার, শিবসেনার (ইউবিটি) প্রতিনিধিত্বকারী উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, সিপিআইয়ের (এম) সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইর ডি রাজা, পিডিপির মেহবুবা মুফতি এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সরেন।