১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নির্বাচন নিয়ে নতুন পরিকল্পনা মিয়ানমার জান্তার

-

সেনাশাসিত মিয়ানমার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছে। তবে দেশটিতে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা এলেই কেবল এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু সেই নির্বাচন দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত নাও হতে পারে। সোমবার মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এই তথ্য জানিয়েছেন।
দেশটির বেশির ভাগ অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সাথে সামরিক বাহিনীর ক্রমবর্ধমান সঙ্ঘাতের মাঝে আগামী নির্বাচন নিয়ে নতুন এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মিন অং হ্লেইং। তিন বছর আগে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে সামরিক বাহিনী। দেশটি এখনো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ফেরার পরিকল্পনা করছে বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা তাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মিন অং হ্লেইং।
রুশ বার্তা সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারের অনুবাদ মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী প্রথম ক্ষমতা দখল করেছিল ১৯৬২ সালে।
এরপর দীর্ঘ দিন ধরে মিয়ানমারের ক্ষমতায় জেঁকে বসে জান্তা।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বে দেশটিতে শুরু হওয়া গণতান্ত্রিক যাত্রা হোঁচট খায় ২০২১ সালে। ওই সময় মিন অং হ্লেইং নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী সু চির সরকাকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটিতে আবারো সামরিক শাসন জারি করে জান্তা। তবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবার দেশটির জাতিগত বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও জান্তাবিরোধী প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
দেশটির উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র বিভিন্ন গোষ্ঠীর পুনরুত্থানের বিরুদ্ধে ব্যাপক লড়াই করছে সেনাবাহিনী। দেশটিতে বেসামরিক লোকজনের ওপর সামরিক বাহিনী পরিকল্পিত নৃশংস অভিযান পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ করেছে বিদ্রোহীরা। যদিও মিয়ানমার জান্তা এই অভিযোগ বরাবরের মতো অস্বীকার করেছে।
তাসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মিন অং হ্লেইং বলেছেন, দেশ যদি শান্ত এবং স্থিতিশীল হয়, তাহলেই কেবল আমাদের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে। আইন অনুযায়ী, সারা দেশে নির্বাচন না হলেও আমরা যতটুকু পারি আয়োজন করব।
মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে দফায় দফায় ছয় মাস করে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে সামরিক জান্তা। তারা বলেছে, দেশে স্থিতিশীলতা আনতে এবং সরকার-বিরোধীদের গুঁড়িয়ে দিতেই জরুরি অবস্থা দরকার। ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের বিরোধিতাকারীদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জান্তা।
জাতিগত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ও ছায়া সরকারের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা মিলিশিয়াদের মিত্র জোটের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধবিমান ও ভারী কামান মোতায়েন করেছে জান্তা সরকার। জাতিসঙ্ঘ বলছে, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া অস্থিতিশীলতায় এখন পর্যন্ত ২৩ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
মিয়ানমারের জান্তা শাসনের সমালোচক ও পশ্চিমা দেশগুলো বলেছে, মিয়ানমারে পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠত হতে পারে। কারণ অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪০টিরও বেশি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে এমন নতুন রাজনৈতিক দল গঠনকেও কঠিন করে তুলতে আইন তৈরি করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
শমী কায়সারের জামিন স্থগিত দেড় যুগ পর সিলেটে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন কাল হালাল পণ্যের বাজার প্রসারে একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ৫ বছর পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি জিতল জিম্বাবুয়ে জাহিদ-পলক-আজমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা দেশে এলো ইউক্রেন থেকে আমদানি করা গম চঞ্চলকে ‘গৃহবন্দী’ করার খবরে তোলপাড় ভারতে, অভিনেতা জানালেন ‘পুরোটাই মিথ্যা’ সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দ ১ দিনের রিমান্ডে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মুজিবর, সম্পাদক মফিজুর রহমান যশোরের শার্শায় ৩০০ বিঘা সরকারি জমি উদ্ধার ষষ্ঠবারের মতো নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের মিশনে ইংল্যান্ড

সকল