সিরিয়ার শাসনব্যবস্থায় যে সঙ্কট রয়েছে তার স্থায়ী সমধান চায় তুরস্ক। এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সিরিয়া এমন একটি দেশ, যেখানে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী বৈধ শাসনব্যবস্থা নেই। এ কারণে সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে সংঘাত স্থায়ী রূপ নিয়েছে। এই সঙ্ঘাতের সমাধানের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রচেষ্টা চালিয়েছে তুরস্ক। তুর্কিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তানজু বিলজিক গত শুক্রবার সিরিয়ার সঙ্ঘাতে তুরস্কের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সিরিয়ায় যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চায় তুরস্ক। তবে তা আস্তানা ও জেনেভা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হতে হবে। এজন্য একটি সাংবিধানিক কমিটি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে তুরস্ক। এই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বিরোধী দল এবং সাংবিধানিক কমিটির প্রতি পূর্ণ সমর্থন থাকবে।
বিলজিক বলেন, সিরিয়ার সরকার রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চাচ্ছে। একই মত প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সিরিয়ার শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় এবং নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে চায় তুরস্ক। তবে তা হতে হবে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের রোডম্যাপের সাথে সামঞ্জস্য রেখে। এই পন্থায় সঙ্ঘাতের ইতি টানতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে আঙ্কারা।
বিলজিক জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতায় সিরিয়ার জনগণের প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্য রেখে তুরস্ক সঙ্ঘাতের স্থায়ী সমাধান চায়। এই প্রচেষ্টায় শক্তিশালী অবদান রাখার কাজও আমরা অব্যাহত রাখব। সিরিয়ার জনগণের সাথে আমাদের সংহতি অব্যাহত থাকবে। যেকোনোভাবে সিরিয়ার বিরোধী দল এবং সরকারকে একত্রিত করে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে হবে। অন্যথায় কোনো স্থায়ী শান্তি আসবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা