তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ কাভুসওগলু বলেছেন, লিবিয়ার একজন জলদস্যুকে সমর্থন দিচ্ছে ফ্রান্স। এ কথার মধ্য দিয়ে কাভুসওগলু মূলত লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা জেনারেল হাফতারকে বুঝিয়েছেন যিনি দীর্ঘ দিন ধরে লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই করে আসছেন।
মঙ্গলবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজারতোর সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কাভুসওগলু । তিনি সুস্পষ্ট করে বলেন, ফ্রান্স একজন জলদস্যু এবং অভ্যুত্থানকারীকে সমর্থন দিচ্ছে। লিবিয়া ইস্যুতে ফ্রান্সের ধ্বংসাত্মক ভূমিকার সমালোচনা করে কাভুসওগলু বলেন, প্যারিস মূলত জাতিসঙ্ঘের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তিনি বলেন, ফ্রান্স অতীতে যেভাবে আফ্রিকার দেশগুলোতে উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল ঠিক একই রকম লক্ষ্য এখন লিবিয়াতে বাস্তবায়ন করতে চায়। কাভুসওগলু বলেন, স্বচ্ছ চুক্তির অবকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে লিবিয়ার সাথে তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, লিবিয়ায় তুরস্কের সামরিক হস্তক্ষেপে ব্যাপারে চুপ থাকবে না প্যারিস। তিনি বলেছেন, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান লিবিয়া ইস্যুতে বিপজ্জজনক খেলায় মত্ত হয়েছেন।
লিবিয়ার ঘটনাবলীতে তুরস্কের জড়িত হয়ে যাওয়ার পর থেকে বিদ্রোহী নেতা জেনারেল খলিফা হাফতারের অনুগত গেরিলারা অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এবং ত্রিপোলিভিত্তিক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। লিবিয়ার ঘটনাবলীতে হাফতারের প্রতি সমর্থন দিচ্ছে মিসর এবং ফ্রান্স। মিসরও সম্প্রতি লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা