ঢাকার ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান’
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৩:১৭
প্রচণ্ড গরম আর বৃষ্টি দু’ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগেই নাকাল হন ঢাকাবাসী। বিশেষ করে গরিব ও কায়িক শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এ অবস্থায় ঢাকাকে সহনীয় করে গড়ে তোলার উপায় খুঁজছে সরকার।
২০২২ সালের হিসেবে জনাকীর্ণ কংক্রিটের বিরাট নগরী ঢাকায় কমপক্ষে এক কোটি দুই লাখ লোক থাকেন। গেল মে মাসে বাংলাদেশ তাদের ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান ঘোষণা দেয়। এতে ঢাকার বাসিন্দাদেরও কেমন করে চরম আবহাওয়া থেকে রক্ষা করা যায়, সে পরিকল্পনা দেয়া আছে।
এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশকে সবুজ ও জলবায়ু সহনশীল করে গড়ে তুলতে হলে ঢাকা নিয়ে কাজ করতে হবে।’
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৫০ নাগাদ বাংলাদেশকে কার্বন নিউট্রাল করতে হবে। সেজন্য কৌশল হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বৈদ্যুতিক যানের ব্যবহার বাড়ানো, সবুজায়ন, প্রাকৃতিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, বন্যার পূর্বাভাস ও ২০৩০ সাল নাগাদ নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা।
ঢাকাসহ এশিয়ার অনেক নগরই জলবায়ু পরিবর্তনের বিশেষ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি দু্র্যোগের মুখোমুখি হয়েছে এই মহাদেশটি। সেখানকার নগরগুলোতে জনসংখ্যা ৭০ কোটির মতো।
প্যারিস চুক্তির সাথে সমন্বয় রেখে ৬০টিরও বেশি শহর জলবায়ু পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এর মধ্যে ভারতের মুম্বাই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু আছে। পাকিস্তানের করাচিও তৈরি করছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি বলছে, কার্বন নির্গমন কমাতে না পারলে ২১০০ সাল নাগাদ ছয়টি দক্ষিণ এশীয় দেশের অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
ঢাকা ২০৫০ সাল নাগাদ ৭০ ভাগ কার্বন নির্গমণ কমাবে। তবে তাদের আর্থিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
এবারের জলবায়ু সম্মেলন কপ২৯-এ গরিব দেশগলোর অর্থায়নের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা