২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তাপমাত্রা কমাতে গোশত কম খেতে হবে?

- সংগৃহীত

বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমাতে হলে গোশত খাওয়াও কমাতে হবে। এমন তথ্য দিয়েছেন জলবায়ু বিষয়ে কাজ করা জাতিসংঘের বিজ্ঞানীরা। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে এক বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ- আইপিসিসি।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর গ্রিন হাউস গ্যাসের এক চতুর্থাংশ আসে জমির ব্যবহার থেকে। যার বেশিরভাগই হয় মাংস উৎপাদনকারী গবাদি পশুর খামারের কারণে। মাংস জাতীয় খাবারের চাহিদা বাড়ার ফলে জমি থেকে বেশি মাত্রায় কার্বন বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে, যার ফলে বায়ুমণ্ডল আরও বেশি উষ্ণ হচ্ছে। আর এ কারণেই গবাদি পশুর খামার কমাতে খাবার হিসেবে গোশত খাওয়া কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

জাতিসংঘের বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষ বেশি করে উদ্ভিদজাত খাদ্য গ্রহণ শুরু করলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকারক প্রভাব কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। তারা হুঁশিয়ার করেছেন, গোশত এবং দুগ্ধজাত খাদ্য তৈরির লক্ষ্যে নিবিড় চাষাবাদ বৈশ্বিক উষ্ণতাকে ক্রমশই বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ও আইপিসিসির একজন নেতৃস্থানীয় সদস্য সালিমুল হক বলেন, "যেখানে পারি আমাদের গ্রিন হাউস গ্যাসটাকে কমানো প্রয়োজন। তা না হলে যে পরিমাণে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে তা সহ্য করা যাবে না।"

"আমরা যদি গোশত খাওয়া কমিয়ে দিতে পারি তাহলে গোশত উৎপাদনকারী খামারের সংখ্যা কমে যাবে। আর এতে কমবে কার্বন নিঃসরণের মাত্রাও," তিনি বলেন।

মিস্টার হক বলেন, "দুই কারণে গোশত খাওয়া কমানোর পরামর্শ দিচ্ছি, একে তো গ্রিন হাউস গ্যাস কমাতে হবে আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, বেশি পরিমাণে গোশত খাওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো না। তবে এটি ধনী দেশগুলোতেই বেশি হয়ে থাকে।"

গোশত এবং দুধ নিয়মিত খাওয়া পশ্চিমা দেশের মানুষদের সংস্কৃতিরই অংশ। জীবন যাত্রায় এ ধরণের পরিবর্তন আনতে তারা কতটা প্রস্তুত এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, "বর্তমানে পশ্চিমা দেশে অনেক বেশি নিরামিষভোজী মানুষ আছে। এছাড়া ভেগান আছে যারা খাওয়া নিয়ে অনেক সচেতন।"

"কেউ গোশত খাওয়া বন্ধ করতে বলছে না, কমাতে বলছে। আর এটা নিজের স্বার্থেই করা উচিত। পশ্চিমা দেশে স্থূলতার সমস্যা আছে। তার মানে তারা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খাচ্ছে। তারা শরীরকে অসুস্থ করে দিচ্ছে। তারা খাওয়া কমাতে পারলে সেটা তাদের জন্যই ভালো," তিনি বলেন।

অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ গোশত অনেক কম খেলেও মিস্টার হক বলেন, "বেশিরভাগ মানুষ কম খেলেও ধনী কিছু মানুষ রয়েছে যাদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা আছে। তার মানে তারা অনেক বেশি খাচ্ছেন।"

এদিকে, পশ্চিমা দেশে বড় বড় কৃষি খামার তাদের অর্থনীতির চালিকা শক্তি এবং এসবের মালিকরা রাজনৈতিভাবেও প্রভাবশালী।

সেক্ষেত্রে কিভাবে এ ধরণের লক্ষ্য পূরণ সম্ভব এমন প্রশ্নে বিজ্ঞানী সালিমুল হক বলেন, "এ ধরণের পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব যদি স্থানীয় ছোট ছোট খামারের উপর নির্ভরতা বাড়ানো যায়। কারণ বড় বড় খামার এগুলোর উপযুক্ত না। যদিও তারা খুব বড় পরিসরে উৎপাদন করে থাকে। এগুলো খুব ভালোভাবে তারা উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিচালনা করে না। বিশেষ করে গবাদি পশুর উপর তারা অনেক চাপ দেয়, খুব খারাপ অবস্থায় রাখে যা উচিত না।" সূত্র : বিবিসি।


আরো সংবাদ



premium cement
জুলাইয়ে ব্রাজিল সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলো ভানুয়াতু বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ

সকল