আচরণবিধি লঙ্ঘন ও উসকানিমূলক বক্তব্য : জামালপুরে অধ্যক্ষ ও চেয়ারম্যান গ্রেফতার
- জামালপুর প্রতিনিধি ও সরিষাবাড়ী সংবাদদাতা
- ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৭, আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৬
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্ট না দেয়া এবং এজেন্ট দিলে হাত-পা ভেঙে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকির মামলায় হুমকিদাতা মো: সাইদুল হাসান (সাঈদ প্রিন্সিপাল) ও মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন জয়কে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ ব্যাপারে শনিবার (২৭ এপ্রিল) জামালপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন জেলা প্রশাসক মো: শফিকর রহমান।
পরে সাংবাদিকদের একটি প্রেস রিলিজ সরবরাহ করেন জেলা নির্বাচন অফিসার ও উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সানিয়াজ্জামান তালুকদার।
প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা হয়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো: রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে তার দুইজন কর্মী পিংনা ইউনিয়নে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এজেন্ট দিতে বাধা প্রদান করবেন এবং হাত ভেঙ্গে যমুনা নদীতে নিক্ষেপ করাসহ নানা ধরনের উসকানিমূলক ও হুমকিস্বরূপ বিভিন্ন বক্তব্য দেন। যার একটি ভিডিও ক্লিপ নিম্ন স্বাক্ষরকারীর নজরে এসেছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এছাড়া বিষয়টি দৈনিক নয়া দিগন্তসহ বিভিন্ন পত্রিকা খবর প্রকাশ হয়। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩-এর বিভিন্ন বিধান অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয় ও হুমকিদাতা দুজনের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার আসামি মো: সাইদুল হাসান ওরফে সাঈদ প্রিন্সিপাল ও মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন ওরফে জয়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে। এছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: রফিকুল ইসলাম কারণ দর্শানোর নোটিশের ব্যাখ্যা দেন। যা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রতিবেদন আকারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
প্রেস রিলিজে জানানো হয়, বর্তমানে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা