১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায়

- ছবি : নয়া দিগন্ত

তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। এক ফোঁটা বৃষ্টির আশায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষ বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ আদায় করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী শাখার আয়োজনে টানা দাবদাহ থেকে মুক্তি কামনায় সালাতুল ইসতিসকার( বৃষ্টি প্রার্থনার) নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের জাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে এ নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার মুসল্লিগণও অংশ নেন।

জামায়াতে ইসলামী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার কর্ম পরিষদের সদস্য ও প্রচার সম্পাদক এইচ,এম মাজহারুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আবুল খায়ের বারকাতুল্লাহ। নামাজ শেষে মোনাজাতে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি কামনা করেন তারা।

ইমামতি করেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা মো: আব্দুল জলিল। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে মোনাজাত করে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী শাখার কর্ম পরিষদের সদস্য ও প্রচার সম্পাদক এইচ,এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাপপ্রবাহের মানুষের চলাচল কষ্ট হচ্ছে এবং বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে পড়ছে। এজন্য অতিরিক্ত দাবদাহ ও খরা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা জামাতের আয়োজনে নানা বয়সী মুসল্লি দুই রাকাত নামাজ শেষে দুই হাত তুলে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন।’

ইসতিসকার নামাজের ইমাম মাওলানা মো.আব্দুল জলিল বলেন, ‘অতিরিক্ত গরমে মানুষ খুব কষ্টে আছে। আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে বৃষ্টি চাইতে বলেছেন। সেজন্যই সবাই একত্রিত হয়ে ইসতিসকার সালাত আদায় করেছি।’


আরো সংবাদ



premium cement