১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায়ের অভিযোগ

- ছবি : নয়া দিগন্ত

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সামস উদ্দিনের সাক্ষর আদায় করে জোরপূর্বক প্রার্থিতা বাতিলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থী সামস উদ্দিন ও প্রতিপক্ষের লোকজন অবস্থান করছিল।

এলাকায় এ ঘটনা উভয় পক্ষের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী সামস উদ্দিন জানান, সমঝোতার কথা বলে কিছু লোক তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর আদায় করে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেয়। সামস উদ্দিন এই সমঝোতার একমত না হলেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে সোস্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগে উল্লখ করেন।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, রোববার দুপুরের দিকে সামস উদ্দিন লিখিত অভিযোগ নিয়ে অফিসে আসেন এবং জমা দেন। এর কিছুক্ষণ আগে তারই স্বাক্ষরকৃত প্রার্থিতা প্রত্যাহার সংক্রান্ত আবেদন জমা দেন প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজন।

এরপর পাল্টা অভিযোগ নিয়ে তিনি সশরীর হাজির হন জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, সরিষাবাড়ীতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বী পোগলদিঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া তালেব উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট আব্দুল্যাহসহ চারজন।

অভিযোগ রয়েছে, রফিকুল ইসলামের বিজয় নিশ্চিতের লক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সামস উদ্দিনকে সরাতে রাজধানী ঢাকায় দফায় দফায় বৈঠক হয়। স্থানীয় এমপির পরিবারের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা জোরপূর্বক সমঝোতার নেতৃত্ব দেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী সামস উদ্দিন মোবাইলে জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন সমঝোতার কথা বলে আমার স্বাক্ষর নেয় এবং ওই স্বাক্ষরে প্রত্যাহারের আবেদন লিখে তারাই নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে জমা দেন। ঘটনার শোনার পর আমি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে সশরীরে উপস্থিত হই এবং পাল্টা আবেদন করেছি।

সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শহিদুল ইসলাম নামে এক লোক চেয়ারম্যান প্রার্থী সামস উদ্দিনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের লিখিত আবেদন নিয়ে এসেছিলেন। পরে তাদেরকে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসারের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় এমপির ছোটভাই অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম মোবাইলে বলেন, প্রত্যাহারের আবেদন আমি নিয়ে যাইনি, নেতাকর্মীরা নিয়ে গেছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ষষ্ঠ রিটার্নিং কর্মকর্তা শায়েনুজ্জামান প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামীকাল সোমবার। একবার প্রত্যাহারের আবেদন পেয়েছি, পরে আবার প্রার্থী নিজে এসে বলছেন যে প্রত্যাহার করেননি। তিনি আইনগত বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নিরব গুঞ্জন ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।


আরো সংবাদ



premium cement