অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে : আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন
- ১১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ ইসলামী ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এম কোরবান আলী এবং জেনারেল সেক্রেটারি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করীম এক যৌথ বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের প্রতিটি সেক্টরে অনিয়ম, দুর্নীতি, ধোঁকাবাজি ও জালিয়াতিতে ভরে গেছে। যার প্রমাণ বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁস। দেশের লাখো-কোটি মেধাবী, পরিশ্রমী ও স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীর আস্থার জায়গা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) দ্বারা পরিচালিত বিসিএস পরীক্ষা, যেখানে মেধাবীদের মেধার সর্বোচ্চ মূল্যায়ন হবে বলে সবার বিশ্বাস ছিল; কিন্তু সেখানেও আজ প্রশ্নফাঁস করে মেধাবী স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দুমড়ে-মুচড়ে দিচ্ছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, যেখানে মেধাবীদের সাথে মেধাবীদের প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা, সেখানে জালিয়াতির প্রতিযোগিতা চলেছে! প্রশ্ন জাগে, লড়াই মেধাবীদের নাকি প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রদের? যারা নিজেদের স্বপ্নকে বিপিএসসির হাতে তুলে দিয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে, তাদের সাথে এ কেমন প্রহসন? আজ প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে অযোগ্য ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় কাজে নিয়োগ দিয়ে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে আর মেধাবী শিক্ষার্থীদের করা হচ্ছে বঞ্চিত।
নেতৃদ্বয় দাবি জানান, অনাতিলম্বে বিপিএসসির উপ পরিচালক মো: আবু জাফর, জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির ও নিখিল চন্দ্র রায়, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও সাজেদুল ইসলাম এবং সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত এসব অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথাযথ বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। জালিয়াতির মাধ্যমে যারা বিভিন্ন পদে নিয়োগ পেয়েছে, তাদের নিয়োগ বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মেধাবীদের মূল্যায়ন ও রাষ্ট্রীয় কাজে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা