১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে শি-মোদি বৈঠকের আভাস

-

ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনা দীর্ঘদিনের। সীমান্ত নিয়ে মাঝে মধ্যে দুদেশের মধ্যে উত্তাপ চরমে পৌঁছায়। শুধু তাই নয়, এ নিয়ে সংঘর্ষে দুদেশের মধ্যে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এবার বুলেট ফেলে আলোচনার টেবিলের সমস্যার সমাধান চাইছে ভারত-চীন। এ নিয়ে শিগগির শি জিনপিং-মোদি বৈঠক হয়ে যাচ্ছে বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে আভাস দেয়া হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম দিকে এসসিও নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন। সেই সম্মেলনের জন্য কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তখনই দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন মেটানোর চেষ্টা হতে পারে। ডেকান হেরাল্ড।
২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান সংঘর্ষ হয়েছিল। তার পর থেকে চলতি সপ্তাহ, হিসেব অনুযায়ী চার বছর হয়ে গেল। গালওয়ান সংঘর্ষ ভারত-চীন সম্পর্ককে তীব্র প্রভাব পড়েছিল। সীমান্তের সেই স্থবিরতার এখনো সমাধান হয়নি। সীমান্তের প্রতিটি পাশে এখনো ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের তৃতীয় মেয়াদে চীনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

এ পরিস্থিতিতে ৩-৪ জুলাই কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন হতে চলেছে। সেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয় কি না এবং তার কোনো অগ্রগতি ঘটে কি না, এখন সেদিকেই তাকিয়ে বিশেষজ্ঞ মহল।
এপ্রিলে মোদি নিউজউইক ম্যাগাজিনকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ভারতের জন্য, চীনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। এটা আমার বিশ্বাস যে, আমাদের সীমান্তে দীর্ঘস্থায়ী পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান করা দরকার। যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। আর অস্বাভাবিকতাকে আমরা পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারি।’
অপর দিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন তারাও ভারতের সাথে সুসম্পর্ক চান। এ নিয়ে সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘ভারত এবং চীনের মধ্যে সম্পর্ক শুধু সীমান্ত পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল নয়। দুই দেশ সীমান্ত পরিস্থিতিসংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলায় কূটনৈতিক এবং সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখছে এবং ইতিবাচক অগ্রগতি ঘটিয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement