১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব

অন্যের এনআইডি দিয়ে ৫০০ টিকিট সংগ্রহ ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে চড়া দামে বিক্রি

-

ঈদের সময় কালোবাজারি করতে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে টিকিট কেটেছিল একটি চক্র। এরপর সেই টিকিট সাধারণ যাত্রীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে তারা। টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত এমন দুইটি চক্রের ১২ জন সদস্যকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাব-৩ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: ফিরোজ কবীর। তিনি জানান, চক্র দু’টি আগামী ১০ দিনের প্রায় ৫০০ টিকিট কেটে রেখেছে।
ফিরোজ কবীর বলেন, সোহেল ও আরিফুলের দুটি চক্র ঠাকুরগাঁও ও ঢাকা থেকে টিকিট কালোবাজারি পরিচালনা করত। বৃহস্পতিবার রাতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। আমরা ঢাকা থেকে ১০ জনকে আর দুইজনকে ঠাকুরগাঁও থেকে আটক করেছি।
তিনি বলেন, এখানে দুই ধরনের চক্র। একটি চক্র অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হলে তা অন্যজনের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে কেটে রাখত। পরে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে চড়া দামে বিক্রি করত। আগ্রহী ক্রেতাদের সফট কপি পাঠিয়ে দিয়ে বিকাশ, নগদে টাকা বুঝে নেয়। এমন চক্রের দুইজনকে মৌচাক মোড়ের আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেফতার করি।
এদের একজনের নাম মানিক ও আরেকজনের নাম বকুল। তাদের কাছ থেকে জানতে পারি, মানিক মূলত সোহেল নামের একজন ও ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থানকারী আবু রায়হান ও আনিস নামের আরো একজনের সাথে এই কালোবাজারি ব্যবসায় আসে।
তিনি বলেন, তাদের কাছে আগামী ১০ দিনের টিকিট পাওয়া গেছে। এগুলোর হার্ড ও সফট কপি রয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরের একতা এক্সপ্রেসের টিকিট তারা ৩ হাজার টাকা করে বিক্রি করছে।
র্যাব কর্মকর্তা ফিরোজ কবীর বলেন, মানিক ও বকুলের মাধ্যমে আনিস ও রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়। রায়হান একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে। সেখানে ভুয়া সিম ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অনেকগুলো টিকিট একসাথে কেটে নেয়ার দায়িত্ব সে পালন করে। এদের বড় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। সেখানে টিকিটের চাহিদা ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আর ঢাকাতে যারা অবস্থান করছে তারাও একই কাজ করে আসছিল। তিনি বলেন, রায়হান ও আনিস টিকিট পাঠাত সোহেল ও মানিকের কাছে। আর মানিক ও বকুল ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করত।
গ্রেফতারদের মধ্যে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেসরকারি ট্রেনের বুকিং সহকারী আরিফুল ইসলামও রয়েছেন। তিনিও একটি চক্র চালান বলে দাবি করে র্যাব কর্মকর্তা ফিরোজ কবীর বলেন, বেসরকারি ট্রেনের বুকিং সহকারী হলেও তার কাছ থেকে অন্যান্য ট্রেনের টিকিটও পাওয়া গেছে। আরিফুল অনেক দিন ধরেই এই কাজ করছিলেন বলে জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement