ব্যাংক হিসাব পুনরায় চালুর জন্য আবেদন রেইসের
- ১৫ জুন ২০২৪, ০০:০৫
রেইসের সব ফান্ডের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত হওয়া সম্পর্কিত একটি সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সাথে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়। আলোচনায় জানা যায় যে, রেইসের একজন শেয়ারহোল্ডার কোম্পানির পরিচালনাধীন মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর ব্যাংক সিগনেটরি হওয়ার দাবি জানালে বিষয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালার বহির্ভূত হবে বলে রেইস কোম্পানি তা দিতে অস্বীকার করে। কোম্পানির কাছে সফল না হয়ে এ শেয়ারহোল্ডার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে রেগুলেটর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ইতোমধ্যে রেইসের এ শেয়ারহোল্ডার এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেন এবং হাইকোর্ট থেকে ৩০ দিনের জন্য একটি একপাক্ষিক (বী-ঢ়ধৎঃব) অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ পান। এ শেয়ারহোল্ডার দ্রুত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউ বরাবর ছড়িয়ে দেন তিনি দাবি করেন যে, যতক্ষণ তাকে সিগনেটরি না করা হবে ততক্ষণ বাংলাদেশ রেইস ম্যানেজমেন্টের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখতে হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএফআইইউ-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ৩০ দিনের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখতে নির্দেশনা পাঠায়। যার ভিত্তিতে বিএফআইইউ ৩০ দিনের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় স্থগিতাদেশ দেন।
রেইস ম্যানেজমন্ট বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে উক্ত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে শুনানির পর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের ওপর এর পূর্ববর্তী অবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ দেন, যা দ্বারা কোম্পানি এবং রেইসের ব্যবস্থাপনাধীন সব ফান্ডের পরিচালনা ও কার্যক্রম পদ্ধতি অভিযোগের পূর্বের অবস্থার ন্যায় পরিচালিত হবে।
কিন্তু রায় ঘোষণার পূর্বেই রেইস এবং তার পরিচালিত সব ফান্ডের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার বিষয়ে বিএসইসি বিএফআইইউ বরাবর একটি নির্দেশনা পাঠায়। নির্দেশনা অনুযায়ী বিএফআইইউ ব্যাংক হিসাবগুলো স্থগিত করার জন্য ব্যবস্থা নেয়। এমতাবস্থায় মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বাংলাদেশ রেইস ম্যানেজমেন্ট পিসিএল একটি বেআইনি অভিযোগের ভিত্তিতে ফান্ডের কার্যক্রমের (ব্লক ট্রেড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লেনদেন) ওপর আরোপিত সব স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে পূর্বে অবস্থায় ফেরত যাওয়ার জন্য বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিআইএফইউ বরাবর আবেদন করেন। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর নিকট বিবেচনাধীন আছে। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা