তাড়াশে পেট্রলপাম্প ও চট্টগ্রামে পোশাক কারখানা পুড়ে ছাই
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১৩ জুন ২০২৪, ০১:৪২
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি পেট্রলপাম্প পুড়ে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চট্টগ্রামে এক তৈরী পোশাক কারখানা অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আদনান ফুয়েল ট্রান্সফার পাম্পে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে একটি দোকান, একটি অফিস রুমসহ তিনটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার তি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে উপজেলার তালম ইউনিয়নের রানীরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাড়াশ ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট গিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল খালেক। তিনি জানিয়েছেন, আদনান ফুয়েল ট্রান্সফার পাম্পের প্রোপ্রাইটর আতিকুল রহমান কপিল আমার ভাগ্নে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় বর্তমানে সে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দোনকার থাকা পেট্রল, অকটেন, ডিজেল, বিভিন্ন মবেলসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে হঠাৎ দোকানে আগুন লাগে। এ সময় আশপাশের মানুষ আগুন নেভানোর জন্য চেষ্টা করে। প্রায় ৪০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসে দু’টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ ফায়ার স্টেশন ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মুহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। পরে দু’টি ইউনিট গিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম নগরে একটি পোশাক তৈরির কারখানার গুদামে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল সকালে উত্তর কাট্টলীর সিটি গেইটের মোস্তফা হাকিম ডিগ্রি কলেজের পাশে গার্টেক্স গার্মেন্টসে এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক জানান, সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সিটি গেট এলাকায় একটি পোশাক কারখানার গুদামে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। বেলা ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার পরপরই কারখানায় থাকা শ্রমিকরা বের হয়ে যায়। এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে গুদামটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আকবরশাহ থানার ওসি গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘গার্মেন্টের ওয়্যার হাউজ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে আমরা জানতে পেরেছি। ওখানে বিভিন্ন কাপড়, ফোমসহ নানা এক্সেসরিজ ছিল।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক হারুন পাশা বলেন, গুদামটি প্রায় ২০০ শত ফুট প্রস্থ ও ২৫০ দৈর্ঘ্যরে। গুদামে পর্যাপ্ত মালামাল ছিল। এ ছাড়া গুদামটির উপরের টিন শেড লোহার এঙ্গেলসহ ভেঙে পড়ে। তাই আমাদের কর্মীরা ভেতরে গিয়ে দ্রুততার সাথে কাজ করতে পারেনি।