১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে অভিযোগ তদন্ত প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

-

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো: মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাইফুল্লাহ মামুন, এ এম জামিউল হক ফয়সাল, আবদুল্লাহ আল হাদী। সাথে ছিলেন কামরুল হাসান রিগান, মো: জাকির হায়দার।
গত ৬ জুন জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সাথে যোগাযোগ, নীতি সংস্কার এবং অভিযোগের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দ্বারা পর্যালোচনা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ এম জামিউল হক ফয়সাল, কামরুল হাসান রিগ্যান ও জাকির হায়দারের পক্ষে আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হাদী এ রিট আবেদন দায়ের করেন।

আবেদনে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, বাংলাদেশ রুরাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, ডেসকো, ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি ও ডিপিডিসির কর্তৃপক্ষকে রিটে বিবাদি করা হয়েছে।
এর আগে গত ২১ মে ওই তিন আইনজীবীর পক্ষে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সাথে যোগাযোগ, নীতি সংস্কারের চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার চালু সত্ত্বেও ভোক্তারা অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ ও স্বচ্ছতার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সমস্যাগুলো ব্যাপক অসন্তোষ ও আর্থিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সাথে যোগাযোগ এবং নীতি সংস্কারের দাবিতে নোটিশ পাঠানো হয়।


আরো সংবাদ



premium cement