১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

উখিয়ায় আরএসও-আরসা সংঘর্ষ, ৩ রোহিঙ্গাকে হত্যা

-


কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসা এবং আরএসও এর মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ক্যাম্পের তিন রোহিঙ্গাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে উভয় পক্ষের সন্ত্রাসীরা। হামলায় আহত হয়েছেন আরো সাতজন। গতকাল সোমবার ভোরে উখিয়ার ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো: ইকবাল।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন করে সংগঠিত হয়ে নাশকতার চেষ্টা করছে আরসা সন্ত্রাসীরা। মূলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে সোমবার ভোরে ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে হামলা চালায় আরসা সদস্যরা। এ সময় অপর প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ আরএসওর সাথে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তিন রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়। আর আহতরা সবাই এফ ব্লকের বাসিন্দা।
নিহতরা হলো, ওই ক্যাম্পের এফ ব্লকের জাফর আহম্মদের ছেলে মো: ইলিয়াছ (৩১), মৃত আব্দুর রকিমের ছেলে মোহাম্মদ ইসহাক (৫৪) ও ক্যাম্প-৩-এর ই ব্লকের মোহাম্মদ ইসমাইলের ছেলে ফিরোজ খান (১৮)।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভোররাত পৌনে ৪টার দিকে রোহিঙ্গা মোহাম্মদ ইলিয়াছকে আরএসও সদস্যরা গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে, পায়ে, তলপেটে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে সে ঘটনাস্থলে মারা যায়। এরপরে ভোর সোয়া ৪টার দিকে আরেক সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আরএসও সমর্থক মোহাম্মদ ইসহাক, ফিরোজ খান, আব্দুল হক, আব্দুর শুক্কুর ও আব্দুর মোনাফকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে জানা গেছে, প্রথমে নিহত রোহিঙ্গা ইলিয়াছ আরসার সোর্স হিসেবে কাজ করত। আরসা সম্পর্কে জানতে চাওয়া তথ্য দিতে রাজি না হওয়ায় আরএসও সদস্যরা প্রথমে তাকে হত্যা করে। পরে ঘটনার খবর পেয়ে আরসা সদস্যরা এসে কয়েকজন আরএসও সমর্থকের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।
উখিয়া থানার পরিদর্শক মো: শামীম হোসেন বলেন, নিহত তিন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো: ইকবাল বলেন, একজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। দুজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement