দতার অভাবে বিদেশে কম বেতন পাচ্ছেন বাংলাদেশী শ্রমিকরা

দেশের শিল্পকারখানায় দ জনশক্তির অভাবে মেশিনারিজ ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনায় অনেকসময় বিদেশ থেকে লোকবল আনতে হয়। বিনিময়ে উচ্চ বেতনের সম্মানী দিতে হয় তাদের। এ ছাড়া দতার অভাবে বিদেশে গিয়েও পাশের দেশগুলোর শ্রমিকদের তুলনায় কম বেতনে কাজ করতে হয় বাংলাদেশী শ্রমিকদের। এই অবস্থায় দেশে দ জনবল তৈরিতে উন্নত শিা ও প্রশিণের ওপর আরো জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। গতকাল শনিবার রাতে এফবিসিসিআইয়ের দতাবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় ব্যবসায়ীরা এই আহ্বান জানান।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের জনবলের দতা উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা, শিল্পমালিক, ব্যবসায়ীসহ স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এফবিসিসিআইতে একটি সেমিনারের আয়োজন করা যেতে পারে।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো: আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যা দেশের জন্য সম্পদ। এ সম্পদকে কাজে লাগাতে প্রযুক্তিগত দতা অর্জন জরুরি। দ জনবল তৈরিতে সরকারের বিভিন্ন পদপে ও সদিচ্ছা রয়েছে। সরকারকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে একসাথে কাজ করতে হবে আমাদের ব্যবসায়ীদের।

কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ বি এম শোয়েব বলেন, বর্তমান যুগ রোবটিকস, অটোমেশনের যুগ। অনেক শিল্পকারখানা আছে রোবটিকস, অটোমেশনে চলছে। কিন্তু তারপরেও গার্মেন্ট, স্পিনিং ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে জনবলের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু দতার অভাবে চীন, জাপানের তুলনায় এখানে উৎপাদন কম। এখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন খাতভিত্তিক দতা উন্নয়নের বিষয় অ্যাকাডেমিক কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
সভাপতির বক্তব্যে কমিটির চেয়ারম্যান মো: শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য দতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। দতার অভাব থাকলে উৎপাদনশীলতা, রফতানি ও রফতানি আয় বৃদ্ধি-সবকিছুই বাধাগ্রস্ত হবে।
সভায় বাংলাদেশে দতা উন্নয়নের ত্রে ও করণীয় নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। প্রেজেন্টেশনে উন্নত শিা এবং প্রশিণ ব্যবস্থা, প্রশিণ প্রাপ্তি সহজীকরণ, শিল্পের সাথে একাডেমির সমন্বয়, উন্নত প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে অ্যাকাডেমিক কারিকুলাম সাজানো, লিঙ্গবৈষম্য কমানো ইত্যাদির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক নিয়াজ আলী চিশতী, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।