১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
ডলারের দাম বাড়ানোর প্রভাব

মে মাসে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ৩২.৩৫ শতাংশ

-


মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২২৫ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, গত মাস থেকে ডলারের নতুন হার নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক লাফে প্রতি ডলারে ৭ টাকা বাড়ানো হয়। এরই প্রভাবে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে বেশি হারে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। আর এরই প্রভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
জানা গেছে, গত মাস থেকে নতুন পদ্ধতিতে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার শর্ত হিসেবে কলিংপেগ নামক নতুন পদ্ধতিতে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। এ হার অনুযায়ী ডলারের মধ্যবর্তী দর নির্ধারণ করা হয় ১১৭ টাকা। এ থেকে এক টাকা বাড়িয়ে ডলারের দর নির্ধারণ করার অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু অনেক ব্যাংকই এ হার মানছে না। তারা প্রতি ডলার কিনছে ১২০ টাকা থেকে ১২৩ টাকা। বাড়তি দাম দিয়ে ডলার কেনায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে ডলার সঙ্কট রয়েছে। এর চেয়েও চাপে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ আশঙ্কাজনক অবস্থানে নেমেছে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে বাড়তি মূল্যে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করলেও তেমন কিছু বলা হচ্ছে না। যার প্রভাবে বৈধ চ্যানেলে অর্থাৎ ব্যাংকের মাধ্যমে ডলার সংগ্রহ বেড়ে গেছে। তবে, সঙ্কট দেখা দিয়েছে আমদানি ব্যয়ে। কারণ ব্যাংকগুলো বাড়তি মূল্যে রেমিট্যান্স আহরণ করতে গিয়ে সামগ্রিক আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। ব্যাংকগুলো বাড়তি মূল্যে ডলার কিনে গ্রাহকদের কাছে বাড়তি মূল্যেই ডলার বিক্রি করছে। করপোরেট ডিলিং ও নানা উপকরণের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো গ্রাহকের কাছ থেকে বাড়তি মূল্য নিচ্ছে। এতে বেড়ে যাচ্ছে সামগ্রিক আমদানি ব্যয়। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। আর পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বেড়ে যাচ্ছে মূল্যস্ফীতি।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা দেশে থাকা তাদের আত্মীয় পরিজনের কাছে বছরে দুই ঈদে সাধারণত বেশি অর্থ পাঠান। আর এ কারণে এ সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত বছরের মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার। আর গত মে মাসে এসেছে ২২৫ কোটি ডলার। ব্যাংক খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত দুই ঈদের আগেই পরিবার-স্বজনদের কাছে বাড়তি অর্থ পাঠান প্রবাসীরা। সামনেই ঈদুল আযহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। মে মাসের রেমিট্যান্স এপ্রিলের তুলনায়ও ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়েছে।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, রেমিট্যান্স বেড়ে যাওয়ায় একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার চলমান সঙ্কট কিছুটা হলেও কমবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রিজার্ভ কমে যাওয়ায় কোনো ডলার বিক্রি করছে না। এতে সরকারি ব্যাংকগুলো পড়েছে মহাবিপাকে। তারা সরকারের প্রয়োজন মেটাতে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য পণ্য আমদানি করেছে। কিন্তু আমদানি দায় পরিশোধ করতে পারছে না ডলার সঙ্কটের কারণে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও আগের মতো আর সহযোগিতা করছে না। এতে বকেয়া এলসির দায় বেড়ে যাচ্ছে। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, বারবার আমদানি দায়ের পরিশোধের কমিটমেন্ট ঠিক রাখতে পারছেন না। এতে ব্যাংকসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সিরিয়ার নতুন শাসকদের প্রতি হিজবুল্লাহপ্রধানের আহ্বান ইসরাইলের সাথে সঙ্ঘাতে আগ্রহী নন সিরিয়ার নতুন নেতা সাবেক ফুটবলার কাভেলাশভিলিই জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট ঘড়ির সময় বদলাতে চান না ট্রাম্প ভারতীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে অস্ত্র বাংলাদেশ : ওয়েইসি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র খেয়ালখুশিমতো খরচ হয়েছে জলবায়ু তহবিলের অর্থ গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন : র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ আরাকানে সাড়ে ৪ শ’সেনা নিহত, জান্তার নিয়ন্ত্রণ শেষ বিপাকে রোহিঙ্গারা ভারতসহ সাত ‘অসহযোগী’ দেশের তালিকা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের সিরীয়রা স্বাধীনতা উদযাপনের সময় দামেস্কে ইসরাইলের হামলা

সকল