ফতুল্লায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ১২ জন টেঁঁটাবিদ্ধ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলি চরাঞ্চলে দুই গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে ১০/১২জন। এ সময় ৫/৬টি বাড়ি ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে সংঘর্ষ থামিয়েছে পুলিশ।
রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত থেমে থেমে বক্তাবলি ইউনিয়নের আকবর নগর এলাকায় রহিম হাজি ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক আহতদের নাম পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী জানান, রহিম হাজি ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে প্রায় এক যুগ ধরে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ চলে আসছে। তাদের এ সংঘর্ষে বিভিন্ন সময় উভয় গ্রুপের একাধিক লোক টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।
এতে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি ও ফতুল্লা থানায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়। আকবর নগর এলাকার কিছু অংশ টঙ্গীবাড়ি থানায় এবং কিছু অংশ ফতুল্লা থানায় অবস্থিত। এতে পুলিশ চেষ্টা করেও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে পারছে না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে রোববার দুপুর থেকে রহিম হাজি ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। বিকেলে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে টেঁটা, রামদা হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০/১২ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়। তাৎক্ষণিক আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের লোকজনই ৫/৬টি বাড়ি ভাঙচুর করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ধাওয়া করে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ফতুল্লা বক্তাবলি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মফিজ উদ্দিন জানান, ১৭ রাউন্ড শটগানের ফঁাঁকা গুলি ছুড়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। আকবর নগরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।