১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শফিউল আলম প্রধানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

-

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম শফিউল আলম প্রধানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের এই দিনে তিনি রাজধানীর আসাদগেটের নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন।
শফিউল আলম প্রধান ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি পঞ্চগড় জেলার টোকরা ভাষা গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি তৎকালীন প্রাদেশিক পাকিস্তানের আইন পরিষদের স্পিকার অ্যাডভোকেট মৌলভী গমির উদ্দিন প্রধানের তৃতীয় ছেলে। শফিউল আলম প্রধান ১৯৬৮ সালে শেখ বোরহানউদ্দিন কলেজের নির্বাচিত জিএস এবং ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলের ভিপি নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়া অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৭৩-৭৪ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালের ৩০ মার্চ ছাত্রলীগের পক্ষে ক্ষমতাসীন দলের (আ’লীগ) দুর্নীতির তালিকা প্রকাশ করার কারণে তৎকালীন সরকার শফিউল আলম প্রধানকে গ্রেফতার করে।
শফিউল আলম প্রধান ১৯৭৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা গঠন করেন। জাগপার ব্যানারে তিনি দেশ মাটি ও মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
এ জন্য প্রতিটি সরকারের শাসনামলেই তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে।

শফিউল আলম প্রধানের স্মৃতিচারণ করে জাগপার সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেন, আমি বাবার চেয়ে নেতা হিসেবে শফিউল আলম প্রধানকে বেশি কাছে পেয়েছি। একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিক হিসেবে তিনি ছিলে উদার মনের রাজনীতিবিদ। শফিউল আলম প্রধান যেমন পরিবারকে নিজের চোখে দেখতেন তেমনি দেশকে পরিবারের চোখে দেখতেন। পরিবার এবং দেশ ছিল তাঁর কাছে একটি পরিবার।
তিনি দেশবাসীর কাছে মরহুম শফিউল আলম প্রধানের রূহের মাগফিরাত কামনার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
এদিকে শফিউল আলম প্রধানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও একই দিনে পঞ্চগড়, বগুড়া, যশোর, রংপুর দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারীসহ বিভিন্ন জেলা, উপজেলা এবং মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement