চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ১৪ মে ২০২৪, ০১:০৮, আপডেট: ১৪ মে ২০২৪, ০১:১৬
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করার অভিযোগে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাস ছিল মিছিল-স্লোগানে উত্তপ্ত। এ সময় কলেজে তাদের ছবিসংবলিত ব্যানারও ছিঁড়ে ফেলা হয়। বিপুলসংখ্যক পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনির উদ্দিন, হাসান সাইমুন, রাকিবুল ইসলাম সাইক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির উদ্দিন রিহান, মহিউদ্দিন বাপ্পি, মাসুদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান সুজন, অর্ণব দেব, দফতর সম্পাদক জামশেদ উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক কাজী আব্দুল মালেক রুমি প্রমুখ।
এ সময় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অর্নব দেব সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিকভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। বর্তমানে অনার্সে ভর্তি চলছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী থেকে একটি খাম বিক্রি বাবদ ১০০ টাকা করে নিচ্ছে। এছাড়া রেজিস্ট্রেশন কার্ড, অ্যাডমিট কার্ড নিতে হলে প্রত্যেকটি বাবদ ১০০ টাকা করে নিচ্ছেন সভাপতি-সম্পাদক। অথচ শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যেন কোনো চাঁদাবাজি না করা হয়। এই সব নিয়ে কয়েক দিন ধরেই আমরা প্রতিবাদ করে আসছি। প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে। সেখানে আমরা উপস্থিত হতেই আমাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে এমন চাঁদাবাজি তারা দীর্ঘদিন ধরেই করছেন।
কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম জানান, বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজির পাশাপাশি নিয়োগবাণিজ্য, টেম্পো স্টেশন ও টঙদোকান থেকেও প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণে চাঁদাবাজি করছে। এমনি সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও কোনো ছাড় দিচ্ছে না। এই ছাত্রলীগহ নেতা বলেন, এসব চাঁদাবাজি করে কলেজ সভাপতি মাহাদুল করিম সাড়ে তিন কোটি টাকায় একটি বিশাল বাড়ি বানিয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিকের ব্যাংক হিসাবে কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য রয়েছে। তাদের দু’জন এতটাই বেপরোয়া যে, তাদের কাছে সবাই অসহায়। তারা একটি কলেজে কিভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সামান্য তিন টাকা দামের খাম ১০০ টাকা আদায় করছে! তবে আমরা এর প্রতিবাদ জানানোর কারণে আমাদের সাথে বারবার সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে তারা দুই হলে অবৈধভাবে প্রবেশ করে অস্ত্র মজুদ করছে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার কথা জানায়।