সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ক্যান্টিন ও ওষুধের দোকান বন্ধের নির্দেশ
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১১ মে ২০২৪, ০০:৪৪
সরকারি পর্যায়ে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে থাকা অবৈধ ফার্মেসি, ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত বৃহস্পতিবার অধিদফতরে পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো) ডা: আবু হোসেন মো: মঈনুল আহসানের সই করা চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, তত্ত্বাবধায়ক, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালকদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর ও জেনারেল হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে অবস্থিত, অবৈধ, অনুমোদনহীন, ইজারার মেয়াদোত্তীর্ণ ফার্মেসি, ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়ার কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। একই সাথে বকেয়া পাওনা আদায়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হলো। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালের অভ্যন্তরে নতুনভাবে কোনো ফার্মেসি, ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়া স্থাপনে অনুমতি দেয়া যাবে না। যাদের চুক্তির মেয়াদ রয়েছে, মেয়াদান্তে চুক্তি আর নবায়ন না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী কুমিল্লা সফরে যান। কুমিল্লার পাঁচটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবৈধ ওষুধের দোকান রয়েছে। মন্ত্রী সেখানে থাকাকালীন এসব দোকান বন্ধ থাকলেও তিনি চলে যাওয়ার পরে সেগুলো স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করে। বিষয়টি মন্ত্রীর নজরে আনলে তিনি হাসপাতাল থেকে এসব অপসারণের নির্দেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো) ডা: আবু হোসেন মো: মঈনুল আহসান বলেন, দেশের বেশির ভাগ হাসপাতালের অভ্যন্তরে ফার্মেসি ও ক্যান্টিনের নামে জায়গা দখল করে আছে, কিন্তু টাকা পরিশোধ করছে না। অনেকে দীর্ঘদিন ধরে কোনো চুক্তি ও ইজারা ছাড়াই স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় সরকারি স্থাপনা দখল করে ব্যবসা করছেন। তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এগুলো অপসারণের পর হাসপাতালগুলোয় ন্যায্যমূল্যের মডেল ফার্মেসি স্থাপনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা