১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
চুয়াডাঙ্গা এসপির ব্রিফিং

বিদ্যুৎস্পর্শে নয়, মা গলা টিপে হত্যা করে শিশু মাইশাকে

-

সাত বছরের শিশু মাইশা গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছে বলে সবাই জানলেও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শিশুটির হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে খুব সকালে পুলিশ সুপার নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এরপর কৌশলে শিশুটির মাকে নিজের গাড়িতে করেই পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসেন। তারপর তথ্য উদঘাটন হয় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইলবগাদি গ্রামের মাইশা খাতুন বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায়নি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর এ রহস্য উন্মোচন হয়। মাইশাকে অন্য কেউ নয়, তার নিজের মা তাকে গলা টিপে হত্যা করে। ঘাতক মা পপি খাতুনকে (২৫) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পপি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গার এসপি আর এম ফয়জুর রহমান এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, শিশু মাইশা তার মায়ের সাথে আলমডাঙ্গার ভোগাইলবগাদী গ্রামে থাকত। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে পপি খাতুনের চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসে। সে সময় মাইশার গলায় মোবাইল ফোনের চার্জারের তার জড়ানো ছিল। পপি প্রতিবেশীদের জানান, তার মেয়ে মাইশা বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছে। প্রতিবেশীরা মাইশাকে দ্রুত নিয়ে যায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে মাইশা মারা গেছে বলে জানান। পাশাপাশি চিকিৎসকরা নিহত মাইশার গলায় দাগ থাকার কথাও পুলিশকে বলেন।
পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, মাইশা খাতুন বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায়নি তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement