আইজিপি আসবেন বলে
- শামীম হাওলাদার
- ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন আসবেন সদরঘাট টার্মিনাল পরিদর্শনে। তাই আশপাশের রাস্তায় কোনো হকার বসতে দেয়া হয়নি। আইজিপি সদরঘাট এলাকা ত্যাগের ১০ মিনিটের মধ্যে আবারো দখল হয়ে যায় ফুটপাথ।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শনে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন আসবেন বলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোড়ের পাশে বাটাসিগন্যাল থেকে টার্মিনালে যেতে দুই পাশের রাস্তা হকারমুক্ত ছিল। এ সময় সব হকার পাবলিক সেজে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আর তাদের চকি ও মালামাল ছিল মার্কেটগুলোর ভেতরে। আইজিপি যাওয়ার পরপরই রাস্তা দখল করে ফের নানা ধরনের কাপড়, জামা, প্যান্ট ছাড়াও ফলফলাদির ঝুড়ি ও চকি নিয়ে বসছে হকাররা। তারা এমনি করে নিত্যই রাস্তায় বসে হকারি করছে। অথচ আইজিপি আসবে বলে বেলা ২টা থেকে পৌঁনে ৫টা পর্যন্ত কোনো হকার রাস্তায় বসতে পারেননি। হকাররা জানায়, পুলিশের বড় স্যার আসবেন তাই মোগো বসতে দেয়নি। একাধিক হকার এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা গরিব মানুষ ৪০ থেকে ৫০ বছর ধরে কেউ কেউ সদরঘাট রোডে হকারি করে আসছি। তবে থানা পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের টাকা দিয়েই এ কাজ চালিয়ে আসছি।
জানা গেছে, টার্মিনাল এলাকার বাটা সিগন্যাল থেকে সদরঘাট টার্মিনাল পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে প্রায় দেড় শতাধিক হকার বসে। এ ছাড়া টার্মিনালের ভিআইপি গেট থেকে ওয়াইজঘাট পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে চার শতাধিক হকার বসে। ওই সাড়ে পাঁচ শ’ হকারপ্রতি ৫০০ টাকা করে প্রতিদিন তিন লাখ টাকা চাঁদা তোলে ডিএমপি কোতোয়ালি থানার সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ আক্কাস আলীর নামে। এসবের টাকা ডিএমপি লালবাগ ডিভিশনের বহু কর্মকর্তা ভাগ পান বলে জানান ফাঁড়ির আইসি আক্কাস। তিনি বলেন, রেকর্ড করিয়েন না, তাহলে সমস্যা উনার। তবে প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা ওসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা