ধানুয়া-কামালপুর স্থলবন্দরে ৫ দিন পণ্য খালাস বন্ধ
- খাদেমুল বাবুল জামালপুর
- ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০০
জামালপুরের বকশীগঞ্জের ধানুয়া-কামালপুর স্থলবন্দরে পণ্য আনলোড হলেও শুল্ক জটিলতার কারণে পাঁচ দিন ধরে আটকে আছে ভারতীয় পণ্যবাহী ৯টি পাথরের ট্রাক। এই সমস্যার সমাধান কবে হবে তা নিয়েও শুরু হয়েছে ধোঁয়াশা। পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। দ্রুত বিষয়টি সমাধান করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আমদানি-রফতানিকারকসহ পাথর ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, ৩১ মার্চ ভারতীয় ৯টি ট্রাকে পাথর নিয়ে ধানুয়া-কামালপুর স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। নিয়মানুযায়ী স্থলবন্দরের ওয়ে ব্রিজে ৯টি ট্রাকের পাথর পরিমাপ করা হয়।
সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি-রফতানিকারকরা জানান, ভারত থেকে প্রতিটি ট্রাকে সর্বোচ্চ ১৮ মেট্রিক টন পাথর আনা হয়েছে। এই ট্রাকগুলো যথানিয়মে বন্দরের ওয়ে ব্রিজে পরিমাপ করা হয়। কিন্তু বন্দরের শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা পাথরগুলো খালাস করতে দিচ্ছেন না কর্মকর্তাদের দাবি, প্রতিটি ট্রাকে ২৫ মেট্রিক টনের বিপরীতে শুল্ক দিতে হবে। কিন্তু আমদানি-রফতানিকারকদের দাবি প্রতি ট্রাকে পাথর আনা হয়েছে ১৮ মেট্রিক টন। সেখানে কর্মকর্তারা ২৫ মেট্রিক টনের শুল্ক চাচ্ছেন। শুল্ক কর্মকর্তা ও আমদানি-রফতানিকারকদের মধ্যে শুল্ক জটিলতার কারণে পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি ভারতীয় ৯টি ট্রাকের পাথর। এজন্য পাথর ব্যবসায়ীরা কামালপুর এলসি স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের হঠকারীতাকে দায়ী করেন।