গলাচিপার মাঝির লাশ মুন্সীগঞ্জে মেঘনা থেকে উদ্ধার
ঝালকাঠিতে আটক ১- গলাচিপা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৫
নিখোঁজের ছয় দিন পর গলাচিপার অহিদুল ফকির (৩২) নামের ট্রলার মাঝির লাশ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দশআনী মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় নৌপুলিশ। অহিদুল ফকির পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সেকান্দার ফকিরের ছেলে। এ ঘটনায় ট্রলারসহ শাকিলকে (২৪) ঝালকাঠি জেলার সুগন্ধা নদীর উত্তর পাড় থেকে আটক করেছে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ।
জানা গেছে, অহিদুল ফকির ভাড়া করা ট্রলার নিয়ে মালামাল পরিবহন করতেন। গত ২৫ মার্চ বরিশালের বজলুর রহমানের মালিকানা এমভি মাহিম ট্রলারে করে ঢাকার মেঘনা ব্রিজ থেকে ২৪ শ’ ব্যাগ সিমেন্ট বোঝাই করে ভোলার দৌলতখান উপজেলার বাংলাবাজারে যাচ্ছিলেন তিনি। অহিদুল মাঝির সাথে ছিল ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কালাম মিয়ার দুই ছেলে শাকিল (২৪), রাকিব (২২) এবং বাবুর্চি। ট্রলার ছাড়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত পরিবারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ ছিল অহিদুলের।
অহিদুলের স্ত্রী আসমা বেগম (২৯) জানান, তার স্বামীর মুঠোফোনে কল দিলে কর্মচারী দুই জন শাকিল ও রাকিব বারবার অহিদুল ফকির ঘুমিয়ে আছে বলে জানায়। বারবার চেষ্টার পরও তার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় আত্মীয়-স্বজন গলাচিপা থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে আসলেও থানা পুলিশ তা আমলে নেয়নি। ৩০ মার্চ মুন্সীগঞ্জের নৌপুলিশ লাশ উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্ত করতে না পেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক নিঁেখাজের ছবি পোস্ট করে। ফেসবুক থেকে পরিবারের লোকজন অহিদুলকে শনাক্ত করেন। পরে অহিদুলের বাবা সেকান্দার ফকির মুন্সীগঞ্জ মর্গ থেকে লাশ গ্রহণ করে। লাশের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে।
এদিকে ট্রলারে থাকা শাকিল, রাকিব ও বাবুর্চি অহিদুলকে খুন করে নদীতে ফেলে দেয় বলে অহিদুলের আত্মীয়স্বজন অভিযোগ করেন। এই খুনের পিছনে আরো অনেকে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তারা। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তারা।
ঝালকাঠি সদর থানা অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, ঢাকার ব্যবসায়ী শাখাওয়াত হোসেনের সিমেন্ট চুরির অভিযোগের ভিত্তিতে ঝালকাঠি জেলার সুগন্ধা নদীতে পুলিশ টহল অবস্থায় সন্দেহজনক ট্রলারটি আটকের চেষ্টা করে। এ অবস্থায় ট্রলারে থাকা শাকিল, রাকিব এবং বাবুর্চি দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে শাকিলকে সিমেন্টবোঝাই ট্রলারসহ আটক করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি।
গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ মো: ফেরদৌস আলম খান জানান, ঘটনাটি অন্য এলাকায় হওয়ায় গলাচিপা থানায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি।
গোলাখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো: নাসির উদ্দিন জানান, লাশ রোববার রাত ১১টায় নিয়ে বাড়িতে এলে ওই রাতে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা