বেপরোয়া ছাত্রলীগ কলঙ্ককেই অলঙ্কার মনে করছে : গয়েশ্বর
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৫
প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ এখন বেপরোয়া বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)
হাসপাতালে নাটোরের আহত কর্মীদের দেখার পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গয়েশ্বর রায় বলেন, বুয়েট, জাহাঙ্গীরনগরসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থা শোচনীয়। জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্রলীগ নেতা মানিক ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালন করেছিল। এর চেয়ে ঘৃণ্য কলঙ্ক আর কী হতে পারে। কোনো কলঙ্কেই তারা আসলে কলঙ্কিত না। এসব কলঙ্কিতকে তারা অলঙ্কার মনে করে। তারা (ছাত্রলীগ) বেপরোয়া। একমাত্র পেশিশক্তি আর প্রশাসনের প্রভাবে তারা আজকে রাজনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে গয়েশ্বর বলেন, ছাত্ররাজনীতি অবশ্যই আমরা চাই। ছাত্ররাজনীতি করেই তো আমরা এখানে এসেছি। এখানে ছাত্ররাজনীতি বাধা নয়। এখানে বাধা শিক্ষাঙ্গনে একদলীয় ছাত্রসংগঠন এবং তাদের নানা ধরনের নারীধর্ষণ, নির্যাতনের প্রসার, ভিন্ন মতের ছ্ত্রাসংগঠনকে না থাকতে দেয়ার বিষয়গুলো।
তিনি বলেন, আবরার ফাহাদের মতো একজন মেধাবী ছাত্রের হত্যাকাণ্ডের পরে শুধু ছাত্ররা না বাংলাদেশের সুশীলসমাজ, রাজনৈতিক দল ফুঁসে উঠেছিল, প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সেই সময়ে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছিল সরকার। তখন বুয়েট কর্তৃপক্ষ একটা সিদ্ধান্ত নিলো যে, বুয়েটে কোনো রাজনৈতিক দলের সংগঠন থাকবে না। এটা বুয়েটের কর্তৃপক্ষ নিয়েছে সারা দেশে নয়। এখন সব দিক বিবেচনা করে বুয়েটকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেখানে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি থাকবে কী থাকবে না। বুয়েট কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে, ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রাখা এবং মা-বাবার মেধাবী সন্তানরা যারা এখানে লেখাপড়া করে তাদের লেখাপড়ার স্বার্থে সেখানে রাজনীতি বিরত রাখবে-এটা তাদের সিদ্ধান্ত।
এর আগে গয়েশ্বর বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে যান। নাটোরের আওয়ামী লীগ-য্বু লীগের সন্ত্রাসীরা গত ১৩ মার্চ শাহীনকে জেলার সড়ক ও জনপথ অফিসের সামনে হামলা চালায়।
এ সময়ে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা