নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয়ের প্রশংসা এরদোগানের
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৩
জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) চেয়ারপারসন প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান স্থানীয় নির্বাচনকে গণতন্ত্রের বিজয় বলে অভিহিত করেছেন। গত রোববার স্থানীয় নির্বাচনের পর রাজধানী আঙ্কারায় একে পার্টির সদর দফতরের বাইরে জড়ো হওয়া এক জনতার উদ্দেশে এরদোগান বলেন, কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়েই জাতি ব্যালটে তার ইচ্ছা প্রদর্শন করেছে। এটি তুর্কি গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় লাভ। এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে গণতন্ত্র, জাতির ইচ্ছা শক্তি, নির্বাচকদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি।
নির্বাচন-পরবর্তী ঐতিহ্য অনুযায়ী এরদোগান পার্টি ভবনের বারান্দায় যাওয়ার সময় লাউডস্পিকারে একে পার্টির পুরনো প্রচারাভিযানের গান বাজানো হয়। তিনি বলেন আমরা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য ৩১ মার্চের নির্বাচন শেষ করেছি। নির্বাচনকে বিঘিœত করবে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আমরা একটি জনবিছিন্ন দলকে দেখেছি যারা পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বের নাগরিকদের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিল।
তিনি বলেন, তুর্কি গণতন্ত্র পরিণত বলে প্রমাণ করার জন্য নাগরিকদের ধন্যবাদ জানাই। নির্বাচন গণতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের কথা বলে। ৩১ মার্চ একটি টার্নিং পয়েন্ট। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে সামগ্রিকভাবে তুরস্ক বিজয়ী হয়েছে। বিজয় হয়েছে গণতন্ত্রের। আর এর জন্য আমাদের উচ্চ মূল্য দিতে হয়েছে।
তিনি নাগরিকদের রাজনৈতিক মতামত নির্বিশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি আশা করি ফলাফল মঙ্গলজনক হবে। এবারের নির্বাচন একে পার্টির জন্য ১৮তম পরীক্ষা ছিল। আমরা সবসময় সফল হয়েছি এবং আমরা সফল হতেই থাকব। আমি আপনাদের বিশ্বাস করি, আমি (ভবিষ্যৎ) বিজয়ে বিশ্বাস করি।’ ডেইলি সাবাহ
তবে এরদোগান স্বীকার করেন যে তারা কাক্সিক্ষত ফলাফল অর্জন করতে পারেনি। বিশেষ করে সাধারণ ও আইনসভা নির্বাচনের নয় মাস পরে, যেখানে একে পার্টি বিজয়ী হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করেছি। একে পার্টির কর্মীরা দিনরাত সম্প্রীতি ও আত্মত্যাগের সাথে কাজ করেছে।’ এরদোগান নিজে গত দুই মাসে প্রচারণার জন্য ৫২টি শহর সফর করেছেন।
এরদোগান পিপলস অ্যালায়েন্সে তার দলের অংশীদার ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি (এনএমপি) এবং জোটের প্রতি সমর্থন ঘোষণাকারী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক জীবনজুড়ে আমরা জাতির সাথে হেঁটেছি। জাতির ইচ্ছার ঊর্ধ্বে কোনো শক্তিকে স্বীকৃতি দিই না। আমরা সব সময় জাতির ইচ্ছাই মেনে নিয়েছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা