১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পটিয়া মাদরাসা ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

-


দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসা ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারির মজলিসের শূরাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।
গতকাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় মজলিসে শূরাকে অবৈধ ঘোষণা করে ওই শূরা কমিটির মাধ্যমে একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে মাদরাসার মহাপরিচালক করে মাদরাসার শত বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। সম্মেলনে বলা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি পটিয়া মাদরাসায় অনুষ্ঠিত বিতর্কিত মজলিসে শূরায় উপস্থিত মুরব্বিগণ মজলুম মহাপরিচালক আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামযাহর প্রতি সুবিচার করেননি। আমাদের নবীজি সা: যখন হজরত আলী রা.কে বিচারক নিয়োগ করে ইয়েমেন পাঠান তখন তাকে নসিহত করেছিলেন যে, দ্বিতীয় পক্ষের বক্তব্য না শুনে যেন ফয়সলা না করেন। কিন্তু আমাদের এই আলেম মুরব্বিরা হাদিসের নির্দেশ উপেক্ষা করেছেন এবং আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামযাহর কোনো বক্তব্য শ্রবণ কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সম্পূর্ণ ইসলামপরিপন্থী পন্থায় একজনকে মহাপরিচালক করা হয়।

সেগুনবাগান তা’লীমুল কুরআন মাদরাসা কমপ্লেক্সের পরিচালক হাফেজ মোহাম্মদ তৈয়বের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ফটিকছড়ি জামিয়া ইসলামিয়া বায়তুল হুদার মুহতামিম ও জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মজলিসে শূরার সদস্য মাওলানা এমদাদুল্লাহ নানুপুরী, শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আলীম, জামিয়া দারুল মাআরিফ চট্টগ্রামের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নুরুল আমীন মাদানী, পটিয়া পৌরসভার সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ ইবরাহীম, ছনহারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন, মাওলানা আবদুল আজীজ, মাওলানা আমিনুর রশীদ পটিয়াবী, মাওলানা কুতুবুদ্দীন, মাওলানা হোসাইন আহমদ ও মাওলানা উজাইরুল্লাহ প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে গত বছরের ২৮ অক্টোবরে মাদরাসা অভ্যন্তরে হামলার পর বিভিন্ন নিপীড়িত শিক্ষক-ছাত্রদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা জামালুদ্দীন, মাওলানা বোরহানুদ্দীন, মাওলানা সগির আহমদ চৌধুরী, হোযাইফা মালিক, জুবাইর, সোহরাব হোসেন আইমন। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৮ জানুয়ারি পটিয়ার এলাকাবাসী বা অন্য কোনো পক্ষ থেকে পটিয়া মাদরাসায় কোনো ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেনি।


আরো সংবাদ



premium cement