২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হঠাৎ টাকার সঙ্কট : এক দিনে ব্যাংক থেকে নেয়া হলো ৬৬৮১ কোটি টাকা

-

হঠাৎ টাকার সঙ্কটে এক দিনে ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিলো ছয় হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। অথচ লক্ষ্যমাত্রা ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চার হাজার ১৮১ কোটি টাকা বেশি। গতকাল ৯১ দিন ও ৩৬০ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে এ অর্থ নেয়া হয়।
মাসের প্রথমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ ও সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ কমে যাওয়ায় ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে গতকাল বাড়তি ঋণ নিতে হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, বাজেট ঘাটতি মেটাতে প্রতি মাসের প্রতি সপ্তাহে সরকার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে কী পরিমাণ ঋণ নেবে তার আগাম কর্মসূচি নির্ধারণ করে থাকে। এ কর্মসূচি অনুযায়ী সরকারের ঋণের জোগান দেয়ার জন্য প্রতি সপ্তাহেই ঋণ উত্তোলনের নিলাম ডাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিলামে আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ঋণের পরিমাণ জানিয়ে দেয়া হয়।
এ ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল দু’টি ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৯১ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে দেড় হাজার কোটি টাকা এবং ৩৬০ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ঘোষণা করা হয়। হঠাৎ সরকারের অ্যাকাউন্ট ঋণাত্মক হওয়ায় গতকাল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চার হাজার ১৮১ কোটি টাকা বেশি ঋণ নেয়া হয়। এর মধ্যে ৯১ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে দেড় হাজার কোটি টাকার বিপরীতে নেয়া হয়েছে তিন হাজার ৮৪১ কোটি টাকা এবং ৩৬০ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। ৯১ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে ঋণ নিতে সরকারকে প্রতি ১০০ টাকায় পরিশোধ করতে হবে ২ টাকা ৪০ পয়সা এবং ৩৬০ দিন মেয়াদি বিলের মাধ্যমে ঋণ নিতে প্রতি ১০০ টাকায় ব্যয় করতে হবে ৩ টাকা ৪০ পয়সা।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মাসের প্রথম হওয়ায় বেতনভাতা পরিশোধ করতে বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। এতে সরকারের অ্যাকাউন্ট ঋণাত্মক হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে বাড়তি ঋণ নিতে হয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহে হয়তো বাড়তি ঋণের আর প্রয়োজন হবে না।
ওই সূত্র জানায়, চলতি ডিসেম্বরে সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে নেয়া হবে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা এবং ট্রেজারি বন্ডের মাধ্যমে নেয়া হবে ৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে পুরনো ঋণ সুদে-আসলে পরিশোধ করতে হবে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার। যার মধ্যে ট্রেজারি বিল মেয়াদ পূর্তি হবে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা এবং ট্রেজারি বন্ড মেয়াদ পূর্তিতে পরিশোধ করা হবে ৫ হাজার কোটি টাকা। এ সুবাদে চলতি মাসে সরকার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে নিট ঋণ নেবে দুই হাজার কোটি টাকা।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল