রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে দ্রুত কাজ করতে হবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২০ জুন ২০১৮, ০০:৩৮
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য সরকারগুলোকে কাজ করতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সুশীল সমাজ সংগঠনের নেতারা।
গতকাল জাতীয় প্রেস কাবের সামনে কোস্ট ট্রাস্ট ও কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ) আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে তারা এ দাবি করেন। মানববন্ধনের সমাবেশে বক্তৃতা করেনÑএনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমান, জাতীয় শ্রমিক নিরাপত্তা জোটের খন্দকার আব্দুস সালাম, কৃষক ফেডারেশনের এএসএম বদরুল আলম, কৃষক ফেডারেশনের (জাই) জায়েদ ইকবাল খান, কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক বরকত উল্লাহ মারুফ ও ইকবাল হোসেন। সমাবেশে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দ।
বিশ্ব শরণার্থী দিবসের প্রাক্কালে বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্রুত ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন দাবি করে তারা বলেন, এ দশ লাখ শরণার্থীর নিজ গৃহ ছেড়ে অন্য দেশের সীমানা অতিক্রম করার পেছনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার জন্য মিয়ানমার সামরিক জান্তাকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
এ দিকে এ এইচ এম বজলুর রহমান তার বক্তৃতায় বলেন, জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত শরণার্থীদের অধিকারগুলোর মধ্যে তাদের কাজ করার অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশে আগত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বিশাল এক কর্মশক্তি অলসভাবে বসে আছে। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা কতটা অমানবিক জীবনযাপন করছে তা অনুধাবন করতে না পারলে তাদের জন্য দাবি তোলা সহজ নয়।
খন্দকার আব্দুস সালাম বলেন, কক্সবাজারে দুই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিবার রয়েছে এবং একটি জরিপে দেখা গেছে প্রতি বছর প্রায় ৮০ হাজার নতুন শিশু এখানে জন্ম নেবে। এ বিপুল জনগোষ্ঠীর দায়ভার কে নেবে? এ পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশ সরকার যেমন দায়ী নয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও দায়ী নয়। এর জন্য এককভাবে দায়ী মিয়ানমারের সামরিক জান্তা, যাকে অবিলম্বে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
বদরুল আলম বলেন, এই মুহূর্তে পৃথিবীতে প্রায় সাত কোটি শরণার্থী রয়েছে। আমরা জানি না, বিশ্বের সরকারগুলো তাদের জন্য কী করছে। সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী এজেন্সি একটি পিটিশন দিয়েছে যেখানে বিশ্বের সব সরকারকে আহ্বান করা হয়েছে তারা যেন অবশ্যই শরণার্থীদের প্রতি সুবিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে।
বরকত উল্লাহ মারুফ বলেন, শরণার্থীরা সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে শরণার্থীদের ঘর ছাড়তে বাধ্য করার জন্য সংঘটিত যুদ্ধ ও ঘৃণা। আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করতে হবে যাতে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা অবিলম্বে মর্যাদার সাথে ও তাদের সব অধিকার নিয়ে নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তন করতে পারে।
ইকবাল হোসেন বলেন, শরণার্থীদের মর্যাদা ও অধিকারের জন্য কোস্ট ট্রাস্ট ও সিসিএনএফ (কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরাম) প্রথম থেকেই ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা