বাজেটে কৃষি খাতে অপ্রতুল বরাদ্দে ১২ কৃষক সংগঠনে হতাশা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১২ জুন ২০১৮, ০০:৫৭
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে কৃষির জন্য প্রস্তাবিত বরাদ্দকে কৃষি ও কৃষকের বর্তমান সঙ্কট মোকাবেলায় অপর্যাপ্ত বলে অভিহিত করে হতাশা ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় ও জাতীয়পর্যায়ের ১২ কৃষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জাতীয় প্রেস কাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকেরা কৃষি ও কৃষকের বিভিন্ন সমস্যা ও সঙ্কটের কথা তুলে ধরে সেগুলো সমাধানে, খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দুরদর্শী পরিকল্পনা মাথায় রেখে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে উপকূলীয় কৃষক সংস্থা, মৎস্য শ্রমিক জোট, বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় কিষাণী শ্রমিক সংস্থা, আদিবাসী সমিতি, হাওর কৃষক ও মৎস্যশ্রমিক জোট, লেবার রিসোর্স সেন্টার, নলছিড়া পানি উন্নয়ন সমিতি, দিঘন সিআইজি, কেন্দ্রীয় কৃষক মৈত্রী, বাংলাদেশ ফার্মার্স ফোরাম ও কোস্ট ট্রাস্ট। কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ফার্মার্স ফোরামের সচিবালয় সমন্বয়কারী মো: মজিবুল হক মনির। এতে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ কাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, উপকূলীয় কৃষক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো: শাহাবুদ্দিন, গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার প্রধান শামসুজ্জামান খোকন এবং ইক্যুইটিবিডির সৈয়দ আমিনুল হক।
মো: মজিবুল হক মনির বলেন, বাজেটে অর্থ বরাদ্দ দেয়ার সময় কৃষিকে আসলে সেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৮-১৯-এর বাজেটের আকার বেড়েছে প্রায় ১৬%, অথচ কৃষির জন্য বরাদ্দ কমেছে ০.৪১%! কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ মোট বাজেটের মাত্র ২.৯৯%, বর্তমান অর্থবছরের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল ৩.৪০%, কিন্তু সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে করা হয় ২.৭৮%। সুতরাং এই ২.৯৯%ও যে শেষ পর্যন্ত কমে যাবে সেটি বলাই বাহুল্য।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য বার্ষিক কর্মসূচির মাত্র ১.১% বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বর্তমান অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ ১.২% রাখা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা করা হয় ১.০%। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব, প্রতি বছর ১% হারে কৃষি জমি হ্রাস, খাদ্য ঘাটতি বেড়ে চলা, দ্রুত নগরায়নের কারণে কৃষি জমি অকৃষি খাতে ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার বারণে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পথে তীব্র চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে যাচ্ছে, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য বাজেটে দুরদর্শী বরাদ্দ ও উদ্যোগ প্রয়োজন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা