বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে একসাথে কাজ করবে কনসিটো ও অ্যাস্ট্রাম
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৯ জুলাই ২০২৪, ১৮:০৪
আন্তর্জাতিকমানের যোগাযোযোগ ও জনসংযোগ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ভারতের প্রথম সারির জনসংযোগ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাম-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের জনসংযোগ (পিআর) প্রতিষ্ঠান কনসিটো। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাম-এর প্রধান সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে কনসিটো। একইসাথে স্থানীয় গ্রাহকদের জন্য বৈশ্বিক পিআর সহায়তা প্রদান করবে অ্যাস্ট্রাম।
গ্রাহক ও জনগণের চাহিদা বুঝতে এবং সেই মোতাবেক কাজ করতে ‘সায়েন্স অব পারসুয়েশন’ পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজ করে থাকে অ্যাস্ট্রাম।
এই চুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের জন্য পারস্পারিক সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্ন ও গবেষণাভিত্তিক বহুমুখী কৌশলগত জনসংযোগ সেবা প্রদান করবে প্রতিষ্ঠান দু’টি। কনসিটো ও অ্যাস্ট্রাম-এর কর্মীরা নিত্যনতুন ও বৈচিত্র্যপূর্ণ চিন্তাকে একীভূত করার সুযোগ পাবে। এর ফলে উভয় প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অন্যন্য মাত্রা যোগ করবে। একইসাথে এই চুক্তির মাধ্যমে নতুন ধারণাসমূহকে বিজ্ঞানভিত্তিক বাস্তবায়ন করতে এবং নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের জন্য পারস্পারিক প্রতিশ্রুতিও সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে।
অ্যাস্ট্রাম-এর ফাউন্ডিং ম্যানেজিং পার্টনার আশওয়ানি সিংলা বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্মিলিত জিডিপির পূর্বাভাস দিয়েছে। যা গ্রাহকদের জন্য একটি বিরাট সুযোগ হতে পারে। তবে এখানে স্থানীয় বাজারে সুনাম, ব্যবসায় ঝুঁকি এবং নিয়ন্ত্রণ নীতিমালার মতো জটিল বিষয়গুলো লক্ষ্য অর্জনে বাধা হিসেবে দাঁড়াচ্ছে। কনসিটো-এর ও অ্যাস্ট্রাম-এর গবেষণাভিত্তিক কর্মপদ্ধতির সমন্বয় আমাদের একটি শক্তিশালী মাত্রা দিয়েছে, যা এই দ্রুত উন্নয়নশীল অঞ্চলে ক্লায়েন্টদের ব্যবসার সফল অগ্রগতিতে সহায়তা প্রদান করবে। এটি আমাদের শ্রীলঙ্কায় অংশীদারিত্বমূলক চুক্তির অনুরূপ, যা এশিয়ার অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে পুঁজি করে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিকে আরো জোরদার করবে।’
কনসিটোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মানজেনো রায়হান খান বলেন, ‘আমরা অ্যাস্ট্রামের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। গবেষণায় অ্যাস্ট্রামের অনন্য দক্ষতা, বিশেষত বেসপোক স্টাডিজের মাধ্যমে তাদের উইনিং নলেজ ধারণা, ক্লায়েন্টদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কনসিটোর নিজস্ব স্টাইলের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। গবেষণাভিত্তিক ও বহুমুখী কৌশলগত যোগাযোগ বা জনসংযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এই চুক্তি আমাদের জন্য একটি শক্তিশালী ও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, যা সম্মানিত গ্রাহকদের আধুনিক ও উদ্ভাবনী সেবা দিতে বেশ সহায়ক হবে। দক্ষিণ এশিয়ার জটিল বাজারে সক্রিয় থাকার জন্য এই সমন্বিত কৌশল অপরিহার্য। একসাথে কাজ করে এই উন্নয়নশীল অঞ্চলে আমরা টেকসই ও সম্মানজনক উপস্থিতি নিশ্চিত করব।’
২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কনসিটোর ইন্টিগ্রেটেড কমিউনিকেশন সলিউশন-ভিত্তিক পিআর, ইভেন্টস, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ডিজাইন পরিষেবাগুলো পুরোপুরি অ্যাস্ট্রামের বিভিন্ন পদ্ধতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব উভয় প্রতিষ্ঠানের বিশ্বব্যাপী প্রচারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং উভয় দেশের গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করবে।
কনসিটো সম্পর্কে
কনসিটো বাংলাদেশ-ভিত্তিক অন্যতম প্রধান ইন্টিগ্রেটেড কমিউনিকেশন সলিউশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ ১৫ বছর দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সফল অগ্রযাত্রায় কনসিটো ভূমিকা রেখে আসছে। এই সময়ের মধ্যে কনসিটো জনসংযোগ, ইন্টার্নাল কমিউনিকেশন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট প্রডাকশন এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট পরিষেবা সাফল্যের সাথে প্রদান করছে। ২০০টির বেশি ক্লায়েন্ট সার্ভিস রেকর্ডের মধ্যে আছে প্রথম সারির ব্র্যান্ড ও করপোরেশনসমূহ। মানজেনো রায়হান খানের নেতৃত্বে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কনসিটো প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী ও কার্যকরী সমাধান প্রদানের মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশে জনসংযোগ ও কমিউনিকেশন সেক্টরে শীর্ষে রয়েছে।
অ্যাস্ট্রাম সম্পর্কে
অ্যাস্ট্রাম ভারতের প্রথম বিশেষায়িত ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইসরি প্রতিষ্ঠান, যারা জনমতকে বুঝতে ও নৈতিকভাবে প্রভাবিত করতে ‘সায়েন্স অব পারসুয়েশন’ ব্যবহার করে। প্রতিষ্ঠানের টেকসই অগ্রগতি বজায় রাখতে, সুনাম রক্ষা ও পরিচালনা করতে গবেষণা-ভিত্তিক বহু বিভাগীয় কৌশলগত কমিউনিকেশন সলিউশন অ্যাস্ট্রামের বিজ্ঞান-ভিত্তিক সৃজনশীলতার নেতৃত্ব দিচ্ছে। ২০১৫ আশওয়ানি সিংলা প্রতিষ্ঠিত অ্যাস্ট্রাম বেসপোক মার্কেট রিসার্চ, মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন প্রোগ্রাম, ইএসজি কনসাল্টিং, ক্রাইসিস প্রিপেয়ার্ডনেস প্লানিং অ্যান্ড ক্রাইসিস কমিউনিকেশন, পলিসি অ্যাডভোকেসি এবং ইলেকশন স্ট্রাটেজি পরিসেবা প্রদান করে থাকে। অ্যাস্ট্রাম এনসিআর অঞ্চল, মুম্বাই ও ব্যাঙ্গালোরসহ প্রায় ৬০টি শহরে সেবা দিচ্ছে। এছাড়া বিশ্বজুড়ে অ্যাস্ট্রামের অংশীদার ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে পাঁচটি মহাদেশে ৩০টি দেশের ১০০টি শহরে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা