শিপইয়ার্ড থেকে ৭ কোটি টাকা মূল্যের জাহাজ গায়েব
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৫ জুন ২০২৪, ১৪:৫৭, আপডেট: ০৫ জুন ২০২৪, ১৫:৩১
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানাধীন নয়ানগরস্থ থ্রী অ্যাংগেল মেরিন লি: শিপইয়ার্ড থেকে প্রায় সাত কোটি টাকা মূল্যের একটি অয়েল ট্যাংকার (জাহাজ) লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মো: আকরাম খান হল মিলনায়তনে থ্রী অ্যাংগেল মেরিন লি: শিপইয়ার্ড থেকে বেঙ্গল ইলেকট্রিক লি:-এর মালিকানাধীন সাত কোটি টাকা মূল্যের অয়েল ট্যাংকার লোপাটের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বেঙ্গল ইলেকট্রিক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোত্তাকিন সালাম।
তিনি জানান, শীপইয়ার্ডে মেরামত করতে পাঠানোর পর কর্তৃপক্ষ দুই দফা মেরামতের বিল পাঠালে অয়েল ট্যাংকারটির মালিকপক্ষ শিপইয়ার্ড থেকে সেটি আনতে গিয়ে জানতে পারে অয়েল ট্যাংকারটি শিপইয়ার্ড থেকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে থ্রী অ্যাংগেল মেরিন লি:।
লিখিত বক্তব্য মোত্তাকিন সালাম জানান, তিনি ঢাকার বনানীস্থ বেঙ্গল ইলেকট্রিক লি:-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত রয়েছেন। গত ২০২৩ সালের ২৩ মে বেঙ্গল ইলেকট্রিক লি:-এর মালিকাধীন টি টেকনাফ নামক অয়েল ট্যাংকারটি মেরামতের জন্য মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানাধীন নয়ানগরস্থ থ্রী অ্যাংগেল মেরিন লি: শিপইয়ার্ডে নিয়ে যান প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো: আবুল রশিদ ও মো: মিজানুর রহমান মিলন। নিয়ে যাওয়ার পর থ্রী অ্যাংগেল মেরিন লি: কর্তৃপক্ষ মেরামতের জন্য জাহাজটি তাদের শিপইয়ার্ডে উঠায়। জাহাজটি শিপইয়ার্ডে উঠানোর পর মেরামত করে থ্রী অ্যাংগেল মেরিন লি: কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জি: মো: আমিনুল ইসলাম, পরিচালক এম, এ রহমান আনসার, পরিচালক শেখ মাহমুদ হাসান, জিএম অপারেশন মোজাম্মেল হক, ব্যবস্থাপক বেলাল হোসেন, হিসাবরক্ষক হুমায়ন কবির, ফোরম্যান আলামিন, ফোরম্যান আমাদেরকে বিগত ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর ও ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি আমাদের প্রতিষ্ঠানের ষ্টাফ রবিউল হক ওরফে রফিকের মাধ্যমে মেরামতের বিল পাঠান (কপি সংযুক্ত)। আমরা মেরামতের বিল পেয়ে বিল পরিশোধ করার মাধ্যমে জাহাজটি শিপইয়ার্ড থেকে নিয়ে আসার জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক সঞ্জয় কুমার সাহা এবং ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) খালেকুজ্জামান রায়হানকে চলতি ২০২৪ সালের ২৯ মে থ্রী অ্যাংগেল মেরিন লি: শিপইয়ার্ডে পাঠাই। তারা শিপইয়ার্ডে গিয়ে আমাদের জাহাজ দেখতে না পেয়ে শিপইয়ার্ড শ্রমিকদের জাহাজের কথা বললে তারা বলে জাহাজটি কয়েকদিন আগে শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে। এই কথা শুনে আমাদের কর্মকর্তারা উল্লেখিত শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষের কাছে জাহাজ কোথায় জিজ্ঞাসা করলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। আমাদের কর্মকর্তারা শিপইয়ার্ডের মধ্যে জাহাজ খোঁজাখুঁজি করতে থাকলে থ্রী অ্যাংগেল মেরিন লি:-এর পরিচালক এম এ রহমান আনসার আমাদের কর্মকর্তাদেরকে হুমকি দিয়ে শিপইয়ার্ড থেকে বের করে দেয়। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর জাহাজটি না পেয়ে বিভিন্ন মারফত জানতে পারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পরিচালকদের নির্দেশে অন্যান্য বিবাদীগনের যোগসাজশে জাহাজটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্য তিনি আরো জানান, জাহাজটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭,০০,০০,০০০ (সাত কোটি) টাকা। এ বিষয়ে গত ৩০ মে আমরা মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। লিখিত অভিযোগ করার পর থেকে আমরা গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আমাদের জাহাজটি (অয়েল ট্যাংকার) লোপাটের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করি। কিন্তু তারপরেও উনি আমাদেরকে জাহাজটি উদ্ধারে কোনো ধরনের সহযোগিতা করছেন না। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নিকট এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি