১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অন্যায়ভাবে আমাদের উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে : মান্ডা-জিরানী খালপাড়বাসী

উচ্ছেদ কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন - সংগৃহীত

রাজধানীর মান্ডা থেকে ত্রিমোহনী পর্যন্ত জিরানী খালের দু’পাশের স্থাপনা অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মান্ডা-জিরানী খালপাড়ের বাসিন্দারা।

শুক্রবার সকালে জিরানী খালের পাশে বাসাবো, কদমতলায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন আলী হোসেন, খবির উদ্দিন, মনিরুজ্জামান খান, বিলকিস খান কাজল, মেহেদী হাসান ও আনোয়ার হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘সরকারি বিভিন্ন রেকর্ড (জরিপ) অনুযায়ী আমরা মান্ডা ও জিরানী খালের উভয় পাশের জমির ব্যক্তিগত মালিক। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অনুমোদিত প্লান মোতাবেক ভবন নির্মাণ করে দীর্ঘ দিন যাবত বসবাস করে আসছি। সরকারি বিভিন্ন কর যেমন- ভূমি উন্নয়ন কর, পৌর কর, গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করে আসছি। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশন আমাদের অজ্ঞাতসারে খালের দুই পাশের ভবন ও জায়গায় খাল থেকে ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট দূরে লাল চিহ্নি প্রদান করে। কী কারণে লাল দাগ দেয়া হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। আমরা এই লাল দাগ নিয়ে চিন্তিত। তবে শোনা যাচ্ছে, সরকার খাল ও তৎসংলগ্ন জায়গার ওপর দিয়ে মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, ওয়াটারবাস ইত্যাদি করার প্রাথমিক সিদ্ধান্তগ্রহণ করেছেন। এজন্য অন্যায়ভাবে উচ্ছেদের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে’

সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন, ‘আমরা সারাজীবনের কষ্টে উপার্জিত অর্থে, কেউ কেউ ব্যাংক ঋণে, কেউ গ্রামের বাড়ির পৈত্রিক ভিটামাটি বিক্রি করে মাথা গোজার ঠাঁই বানিয়েছি। কেউ কেউ প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকা, স্ত্রীর গহনা বিক্রয় করে বাড়ি বানিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আমরা এখন উপায় অন্তহীন। আমাদের অন্যত্র যাওয়ার কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই।’

তারা আরো বলছে, ‘যদি নগর উন্নয়নের স্বার্থে একান্তই প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাদের আশ্রয়ের, পূর্নবাসনের বা ক্ষতিপূরণের যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা সরকারের উন্নয়ন কাজের অংশীদার হতে চাই। কিন্তু কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করে নয়। তাই সরকারি বিধি মেনে অধিগ্রহণ করে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হোক। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’


আরো সংবাদ



premium cement