১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মহাসড়কে থামছে না মৃত্যুর মিছিল, বছরে নিহত ৩২০

- ছবি - নয়া দিগন্ত

ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দু’টিতে থামছে না মৃত্যুর মিছিল। রুট দু’টিতে এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৩২০ জন। আহত হয়েছে ৫৯৪ জন।

অতিরিক্ত গতি ও অদক্ষ চালকের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে বলা হচ্ছে। তবে হাইওয়ে পুলিশ বলছে, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

গত এক বছরে এই দুই মহাসড়কে ৪৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৩২০ জন। আহত হয়েছে ৫৯৪ জন।

সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪ জন মারা যান। এর আগে ৮ মার্চ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে তিনজন মারা গেছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন।

এছাড়াও জানুয়ারি মাসে দু’টি ঘটনায় ফরিদপুরে মহাসড়কে নয়জন নিহত হয়েছে।

যানবাহনের অতিরিক্ত গতি, লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ির চলাচল, মোটরসাইকেলের অনিয়মতান্ত্রিক চলাচল ও পথচারী পারাপারে অসতর্কতা কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে বলে মনে করছেন হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কটির দৈর্ঘ্য ৫৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার এবং জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার।

গত এক বছরে এক্সপ্রেসওয়েতে ১৩৫টি দুর্ঘটনায় ১৩১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ভাঙ্গা অংশে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৬৭ জন নিহত ও আহত হয়েছে ৯৪ জন।

হাইওয়ে পুলিশের মাদারীপুর রিজিওনের আওতাধীন ৩৮১ কিলোমিটার মহাসড়ক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পাঁচটি হাইওয়ে থানা, একটি ফাঁড়ি ও দু’টি ক্যাম্প।

হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিওন ফরিদপুর কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে মামলা দায়েরসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। গত এক বছরে মহাসড়ক দু’টিতে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে যানবাহন চালানোর দায়ে ২৮ হাজার ৪০৪টি যানবাহনের মালিককে মামলা দিয়ে নয় কোটি ৪৩ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দু’টিতে গত এক বছরে ৪৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সড়কে আমাদের চলাচলে আরো সচেতন হতে হবে। তা না হলে থামবে না মৃত্যুর মিছিল। শুধু যাত্রীদেরই নয়, মালিক ও শ্রমিকদের বড় ভূমিকা রাখতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে মহাসড়ক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement