ঢাকার প্রবেশ-বাহির পথ স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ডিএমপি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৬
রাজধানী ঢাকার প্রবেশ ও বাহির পথ স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। এজন্য পার্শ্ববর্তী সব পুলিশ ইউনিটের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো: মুনিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ঢাকার টার্মিনাল থেকে বাসগুলো ছেড়ে সারাদেশে চলে যাচ্ছে। শুধু সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকেই দেশের ৩৮টি জেলার বাস যায়। মাওয়া হাইওয়ে, সিলেট ও চট্টগ্রাম হাইওয়েতে বাসগুলো ওঠে, কিন্তু টার্মিনালের পরের রাস্তাগুলো সুবিধার নয়। রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে। দ্রুত সংস্কার হয়ে গেলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়।
কমপক্ষে এক থেকে সোয়া কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, বাসের ট্রিপগুলো ঠিক সময়ে দিতে পারলে সিডিউল বিপর্যয় এড়ানো যায়। সিডিউল বিপর্যয় হলেই রাস্তায় অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে। তখনই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের শেষ মুহূর্তে একসাথে ছুটি হয়। লাখ লাখ মানুষ একোথে বাড়িতে রওনা হয়। তখন কিছুটা ভোগান্তি দেখা যায়। আশা করি, অন্যান্য বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ভালো সেবা দিতে পারব।
এদিকে শ্রমিকরা একযোগে যখন যাত্রা শুরু করে তখন অযাচিত কিছু যানবাহন ঢুকে পড়ে। আমাদের চোখে পড়লে ব্যবস্থা নেই। আমরা সচেতন আছি, ক্রাইম ডিভিশনকে সাথে নিয়ে কাজ করছি। যাতে ফিটনেসবিহীন গাড়ি বের হতে না পারে সেজন্য আমরা গ্যারেজগুলোতে বিশেষ নজর রাখছি।
তিনি বলেন, গণপরিবহনগুলো নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে না। বিশেষ করে ছাদে কোনো যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে গমন করবেন না। দূরপাল্লার গণপরিবহনগুলো মহানগরীর মধ্যে যাত্রী ওঠা-নামার কাজ করবে না। এক্ষেত্রে গেটলক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
মোটরসাইকেলে যাত্রীদের হেলমেট পরতে এবং মালামাল বহন না করা জন্য আহ্বান জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।
তিনি আরো বলেন, যেসব যানবাহনে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহৃত হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডারটি যেন মেয়াদোত্তীর্ণ/ঝুঁকিপূর্ণ না থাকে সে বিষয়টি যাত্রার প্রাক্কালে নিশ্চিত করতে হবে।