ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ : গাজা সিটিতে হামলায় নিহত অনেক

গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছিটমহলের উত্তরে গাজা সিটির একাধিক স্থানে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন।

ইসরাইল বলেছে, তারা শুধু হামাসের এলাকাগুলোকে ‘টার্গেট’ করেছে।

শনিবার গাজা সিটির একাধিক এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। হামাস পরিচালিত অঞ্চলের কর্মকর্তারা এ কথা জানান।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধবিমানগুলো ফিলিস্তিনি ছিটমহলের উত্তরে ‘গাজা সিটিতে হামাসের দু’টি সামরিক অবকাঠামোতে’ আঘাত হেনেছে।

ইসরাইল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং আরো অনেক দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন অ্যাখ্যা দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গাজা সিটির দু’টি এলাকা থেকে এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রেড ক্রসের ওপর সরাসরি হামলার কথা অস্বীকার ইসরাইলের।

শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফা শহরের কাছে মুওয়াসির এক শিবিরে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হন এবং ৫০ জন আহত হন।

ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) শনিবার বলেছে, ‘রেড ক্রসের সুবিধাকেন্দ্রের ওপর আইডিএফ সরাসরি কোনো আক্রমণ করেনি।’

তারা বলেছে, এই ঘটনার তদন্ত চলবে। এ ছাড়াও ‘আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের ফলাফল জানানো হবে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এই ঘটনার ‘স্বতন্ত্র তদন্ত’ করার আহ্বান জানান।

তেল আভিভে বিক্ষোভ
এ দিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে ইসরাইলে অসন্তোষ বাড়ছে।

শনিবার সন্ধ্যায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী তেল আভিভে মিছিল করেন। নতুন নির্বাচনের দাবি এবং গাজায় বন্দীদের প্রত্যাবর্তনের দাবিতে স্লোগান ওঠে মিছিল থেকে। অনেক বিক্ষোভকারীর হাতে লেখা ছিল ‘যুদ্ধ বন্ধ করুন।’

গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরাইলে হামলার পর এই পাল্টা হামলা শুরু হয়। হামাসের সেই হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত হন। ওই সময় ২৫০ জনকে অপহরণ করেছিল হামাস।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরাইল ‘প্রতিশোধমূলক আক্রমণ’ শুরু করার পর থেকে ৩৭ হাজার ৫৫১ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে চেষ্টা করছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে