শান্তিতে নোবেলজয়ী নার্গিসের কারাদণ্ড বাড়ল আরো ১ বছর
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ জুন ২০২৪, ০৯:২২
ইরানে কারাবন্দী নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদির আইনজীবী জানিয়েছেন, সক্রিয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার জন্য নার্গিসের কারাদণ্ডের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার তিনি এ কথা জানান।
মোহাম্মদির আইনজীবী মোস্তাফা নিলি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, তার মক্কেলকে সরকার-বিরোধী অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে সাজা দেয়া হয়েছে।
নিলি আরো বলেন, ইরানের সাম্প্রতিক সংসদীয় নির্বাচন বয়কট করতে ভোটারদের আহ্বান জানিয়েছিলেন মোহাম্মদি। একই সাথে ইউরোপে আইনপ্রণেতাদের চিঠি পাঠিয়েছিলেন এবং আরো এক ইরানি সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মীকে কিভাবে নির্যাতন ও যৌন হয়রানি করা হয়েছে সেই বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এরপরই তাকে এই সাজা দেয়া হয়।
মোহাম্মদিকে ইরানের কুখ্যাত এভিন জেলে বন্দী করে রাখা হচ্ছে। এই জেলে রাজনৈতিক বন্দী ও পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক রয়েছে এমন ব্যক্তিদের আটকে রাখা হয়। মোহাম্মদি ইতোমধ্যেই ৩০ মাস জেল খেটেছেন। জানুয়ারি মাসে আরো ১৫ মাস কারাবন্দী থাকার রায় দেয়া হয়েছে।
তবে ইরানের সরকার তার বাড়তি সাজার বিষয়কে স্বীকার করেনি।
মোহাম্মদির বিরুদ্ধে সরকারের কয়েক দশকব্যাপী হয়রানির মধ্যেও তার সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য গত অক্টোবরে তাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে বলে ইরানের অনেকেই ক্ষুব্ধ এবং এই রায় সেই ক্ষোভেরই প্রতিফলন।
মোহাম্মদি ১৯তম নারী হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এবং ২০০৩ সালে মানবাধিকার কর্মী শিরিন ইবাদির পর তিনিই দ্বিতীয় নারী হিসেবে এই সম্মান অর্জন করেছেন। ইরানের প্রশাসনে বহুবার গ্রেফতার ও অনেক বছর কারাবন্দী থাকা সত্ত্বেও ৫২ বছর বয়সী মোহাম্মদি তার সামাজিক ক্রিয়াকলাপ চালিয়ে গেছেন।
স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা এবং সে দেশে নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরুদ্ধে সহবন্দীদের সাথে মোহাম্মদি নভেম্বরে অনশন-ধর্মঘট করেছিলেন।
২০২২ সালে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনি পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর পর ইরানে নারীদের নেতৃত্বে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনের আলোকবর্তিকা ছিলেন মোহাম্মদি। সেই বিক্ষোভ ইরানের সরকারের কাছে অন্যতম তীব্র চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল। বাধ্যতামূলক হিজাব না পরার অভিযোগে মাহসা আমিনিকে আটক করা হয়েছিল।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা