ইসরাইল-ফিলিস্তিন দুই পক্ষই যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ জুন ২০২৪, ১৮:২৮
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202406/842021_139.jpg)
সম্প্রতি যে প্রাণঘাতী অভিযানের মাধ্যমে ইসরাইলি বাহিনী চার বন্দীকে মুক্ত করেছে সেই অভিযানের কারণে তাদের ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার দফতর।
শনিবারের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে চালানো অভিযানে ইসরাইলি বাহিনীর সম্ভাব্য নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দপ্তরের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স।
অভিযানে নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৭৪ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
লরেন্স বলেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জিম্মিদের আটকে রাখার মাধ্যমে আশপাশের বেসামরিক নাগরিক ও বন্দীদের‘বাড়তি ঝুঁকিতে' ফেলছে।
জেনেভায় জাতিসঙ্ঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি আরো বলেন,‘উভয় পক্ষের এসব কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে।’
ইসরাইলি সামরিক অভিযান এবং ৭ অক্টোবর থেকে আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সঙ্ঘাতের কথা উল্লেখ করে লরেন্স বলেন, ‘এটি ছিল বিপর্যয়কর, যেভাবে আকস্মিক ও তীব্র সহিংস অবস্থার মধ্যে বেসামরিক নাগরিকরা আটকা পড়ে গিয়েছে।’
বন্দীরা ও তাদের পরিবার যে ‘অগ্নিপরীক্ষার' মুখোমুখি হয়েছে সে বিষয়টি তুলে ধরে লরেন্স বলেন, চারজন বন্দী এখন মুক্ত, এটা নিঃসন্দেহে খুব ভালো খবর। এই বন্দীদের কখনোই ব্যবহার করা উচিত ছিল না। যা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন। যত শিগগিরই সম্ভব হয় তাদের মুক্তি দিতে হবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আক্রমণে প্রায় ১২০০ মানুষের মৃত্যু হয়। এ সময় প্রায় ২৫০ জনকে অপহরণ করে হামাস। এরপরই ফিলিস্তিনে হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৬ হাজার ৭৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সূত্র : এপি/ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা