২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩০, ২০ মহররম ১৪৪৬
`

ইরানের নিহত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে

হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান - সংগৃহীত

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সাথে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন দেশটির ৬০ বছর বয়সী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি এই প্রজাতন্ত্রে গত দুই দশক ধরে কূটনীতিকের দায়িত্ব পালন করেছেন। একইসাথে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পররাষ্ট্র নীতি-বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।

২০০৭ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের কর্মকর্তাদের সাথে সংলাপে অংশ নেয়া কূটনৈতিক দলটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা তাকে এতোটাই বিশ্বাস করতেন খুব সীমিত ত্রি-পক্ষীয় এই কথোপকথনের অনুমতি দিয়েছিলেন তাকে।

পরবর্তীতে তাকে তখনকার প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের প্রশাসনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। যখন ২০১৩ সালে হাসান রুহানি ক্ষমতায় আসেন তখনও তিনি এ পদে বহাল খাকেন। ওই সময় মোহাম্মদ জাভেদ জারিফকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।

জারিফ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন যার ফলস্বরূপ ২০১৫ সালে ইরানের পারমানবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং তিনি আমির আব্দুল্লাহিয়ানকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করেন।

এই পদক্ষেপ ইরানের কট্টরপন্থীদের ক্ষুব্ধ করেছিল। একইসাথে এটাকে জারিফ ও আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মধ্যে দ্বন্দ শুরুর চিহ্ন হিসেবে দেখা হয়েছিল।

যখন ইব্রাহিম রাইসি প্রেসিডেন্ট হন, তখন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ফিরে এসে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে জারিফের কাছ থেকে ক্ষমতা নেন। কয়েক বছর আগে যে ব্যক্তি তাকে বরখাস্ত করেছিল।

ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের জন্য আরো সুবিধাজনক শর্তে পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কিন প্রশাসনের সাথে আমির আব্দুল্লাহিয়ানের পরোক্ষ আলোচনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

শেষ দু’বছরে আমির একাধিকবার নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের সদর দফতর পরিদর্শন করেছিলেন। কিন্তু ইরানে বিক্ষোভকারীদের দমন সম্পর্কিত প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন। একবার তিনি দাবি করেছিলেন, এসব বিক্ষোভে কেউই নিহত হয়নি।
সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement