ইরানের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি সম্পর্কে যা জানা গেছে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ মে ২০২৪, ১৮:০৪
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। আরো নিহত হয়েছেন তার সাথে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ কয়েকজন কর্মকর্তা। তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি।
ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ছিল বেল ২১২।
কপ্টারটি বয়স সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, এই মডেলটি কানাডার সামরিক বাহিনীর জন্য ১৯৬০ সালে তৈরি করা হয়েছিল।
মনে করিয়ে দেয়া যেতে পারে, ইরানের ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্যদের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু হয়। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে নিষেধাজ্ঞাগুলো চলমান।
যাহোক, মার্কিন কোম্পানি বেল হেলিকপ্টার ওই উড়োযানগুলো নির্মাণ করে। বিশ্বজুড়ে অনেক সরকারি-বেসরকারি সংস্থা সেগুলো ব্যবহার করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও থাইল্যান্ড পুলিশের মতো বাহিনীগুলোতেও এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
ফ্লাইটগ্লোবালের ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড এয়ার ফোর্সেস ডিরেক্টরি অনুযায়ী, ইরানের নৌ ও বিমান বাহিনীর কাছে মোট ১০টি বেল হেলিকপ্টার রয়েছে।
তবে, দেশটির সরকার কতটি পরিচালনা করে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
যেকোনো উদ্দেশ্যেই এই এয়ারক্র্যাফটগুলোকে ব্যবহার করা যায়। মানুষ বা পণ্য পরিবহন তো বটেই অস্ত্রসজ্জিত করে যুদ্ধের জন্যও এগুলো উপযোগী।
রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বার্তাসংস্থা জানায়, প্রেসিডেন্টকে বহনকারী কপ্টারে ছয়জন যাত্রী ও তিনজন ক্রু ছিলেন।
ফ্লাইট সেফটি ফাউন্ডেশন নামে একটি অলাভজনক সংস্থার মতে, বেল ২১২-এর সর্বশেষ মারাত্মক দুর্ঘটনাটি ঘটে ২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দেশটির উপকূলে উড্ডয়নের সময় বিধ্বস্ত হয় ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি হেলিকপ্টার।
ইরানে এর আগে ২০১৮ সালে সর্বশেষ একটি বেল-২১২ দুর্ঘটনার শিকার হয়। একজন হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে উদ্ধারে কাজ করছিল এটি।
সূত্র : বিবিসি