সৌদির ঐতিহাসিক যে স্থানটিতে ৭ দেশের হাজিরা তাবু স্থাপন করতো
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ মে ২০২৪, ২০:৫০, আপডেট: ১৯ মে ২০২৪, ২০:৫২
সৌদি আরবে আবরাক আল রাগামা নামটি শুধুমাত্র মানচিত্রে অবস্থিত একটি এলাকার নাম নয়; বরং রাষ্ট্রটির প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আব্দুল আজিজ আল সৌদের সময় থেকে এখন পর্যন্ত এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
সৌদি সংবাদমাধ্যম এসপিএ জানিয়েছে, বর্তমানে এই এলাকাটি আধুনিক উন্নয়ন প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
এই এলাকাটি প্রাচীনকালে আগমনকারী হজ কাফেলাগুলোর প্রধান গিরিপথ হিসেবে পরিচিত ছিলো। সাতটি দেশ থেকে আগত হজ কাফেলাগুলো আবরাক আল রাগামা এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করতো। দক্ষিণ ইয়েমেন, আমিরাত, কাতার, পূর্ব বাহরাইন, জর্ডান, উত্তর ইরাক এবং উত্তর-পূর্ব কুয়েত থেকে আগত হজ কাফেলাগুলোর জন্য এটি একটি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখতো।
আবরাক আল রাগামা এলাকাটি ইয়েমেনের উপকূলীয় রাস্তা থেকে আগতদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। সেখান থেকে আসা কাফেলাগুলো জেদ্দায় পৌঁছতো এবং এই একই পথে ফিরে যেতো।
অনুরূপভাবে আবরাক আল রাগামা এলাকাটি জর্ডানের উত্তর থেকে আগত হজযাত্রীদের জন্যও বিশেষ ভূমিকা রাখতো।
ইরাক এবং কুয়েতের কাফেলাগুলোর জন্যও আবরাক আল রাগামা এলাকাটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিলো। বাহরাইনের কাফেলাগুলোও এখান থেকে যাতায়াত করতো।
সেখানকার ভূমি প্রকৃতির কারণে এলাকাটির নাম আবরাক আল রাগামা রাখা হয়েছে। সেখানে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পালিশ করা পাথর এবং বালুকাময় সমতলভূমি।
সৌদি প্রতিষ্ঠার আগে অন্যান্য দেশ থেকে আগত হজ কাফেলাগুলো এখানে আসতো এবং এখান থেকে মক্কা এবং মদিনায় রওনা হতো।
রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার পর আবরাক আল রাগামার অবস্থার মধ্যে যথেষ্ট পরিবর্তন এসেছে এবং এখানে উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করা হয়েছে।
-উর্দু নিউজ থেকে ইমাম হুসাইনের অনুবাদ